রাজাপুরের শিশু ধর্ষণকারী সালাউদ্দিন-কে ১ বছরেরও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ

২০২১ সালের ৩রা মার্চ দিনদুপুরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ১০ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণ করেন রক্তাক্ত করে সালাউদ্দিন (৪০) নামের এক নরপশু। ঘটনাটি ঘটেছ ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মোখলেস খাঁনের বাড়ীর ৩য় শ্রেণীতে পড়ুয়া ছাত্রীর সাথে।
ধর্ষক সালাউদ্দিন ওই এলাকার মৃত খলিল মীরের ছেলে। এই ঘটনায় ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর দাদি ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে ২০২১ সালের ৪ই মার্চ ভোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং-১০/১০৬।
এই ঘটনায় ৪ই মার্চ “দাদার বিরুদ্ধে নাতনি ধর্ষণের অভিযোগ, ভিটকিম হাসপাতালে” এই শিরোনামে ভোলার বাণী পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে তখন তোলপাড় সৃষ্টি হয় এবং বিষয়টি স্থানীয় ভাবে মোড়লরা সমাধান করতে চাইলেও সংবাদ প্রকাশের পর সমাধান করতে না পেরে ধর্ষক সালাউদ্দিন কে রক্ষায় মাঠে নেমেছে একটি মহল।
অবশেষে ঘটনার এক বছর পর ভোলার বাণীর অনুসন্ধানে দেখা যায় মোড়লরাই জিতে গেছে। যার জন্য এক বছরেও গ্রেপ্তার হয়নি আসামী সালাউদ্দিন। অন্যদিকে বাদীর পরিবার জীবিকার তাগিদে নোয়াখালী থাকায় তারাও জানেন না মামলার আছে কি নাই, বে ধর্ষক সালাউদ্দিন এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে তার পরিবার।
ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর দাদা মোকলেস খা বলেন, ঘটনার পর দিন আমার স্ত্রী বাদী হয়ে সালাউদ্দিন কে আসামী করে মামলা করেন। তবে এখন শুনি আসামী নাকি দুইজন তবে আমাদের অভিযোগ একজনের বিরুদ্ধে, মামলার এজাহারে আসামী দুইজন কেনো ? এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন পুলিশ স্যারে জানে, কেমনে কি ?
স্থানীয়রা জানান, ভোলার পুলিশ চাঞ্চল্যকর প্রতিটি ঘটনার আসামীদের গ্রেফতার করে রেকর্ড সৃষ্টি করেছেন। কিন্তু রাজাপুরের এমন একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনায় মানববন্ধন হলো, টিভি ও পত্রিকায় নিউজ হলো, অথচ পুলিশ ধর্ষক সালাউদ্দিন কে গ্রেপ্তার করতে পারেনি বা কখনো গ্রেফতারের জন্য এলাকায় অভিযান অথবা আসতেও দেখেনি মামলার তদন্তকারী কর্মকতাকে। ওই ধর্ষক সালাউদ্দিন কে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানিয়েছে ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর পরিবার ও এলাকাবাসী।
এই ঘটনায় মামলান তদন্তকারী কর্মকতা ভোলা থানার এস আই রণজিৎ মল্লিক এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন কোর্ট ওয়ারেন্ট দিলে দেখা যাবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।