রুশ অভিযানের “প্রতিবাদে রাস্তায়” লাখো মানুষ

ইউক্রেনে রুশ অভিযানের প্রতিবাদ জানাতে জার্মানির রাজধানী বার্লিন শহরে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিলে এক লাখের বেশি লোক সমবেত হয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বার্লিনের ব্রান্ডেনবুর্গ গেট থেকে ভিক্টরিকলাম পর্যন্ত দীর্ঘ রাজপথ লোকে লোকারণ্য হয়ে যাচ্ছে।
সেখানে এখনো অনেক মানুষ আসছে। বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তিন কিলোমিটার দূরের আলেকজান্ড্রাপ্লাৎজ পর্যন্ত পুরো এলাকাটাই মানুষে ভরে যাবে। জার্মানি এই যুদ্ধে ইউক্রেনকে ১০০০ ট্যাংকধ্বংসী অস্ত্র এবং ৫০০ স্টিংগার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করার কথা জানিয়েছে।
জার্মানির চান্সেলার ওলাফ শোলৎজ দেশটির সামরিক নীতিতে বড় ধরনের এক পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি পার্লামেন্টে এক জরুরি অধিবেশনে বলেছেন, এ বছর সরকার সামরিক সরঞ্জামের জন্য ১০ হাজার কোটি ডলারের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করবে।


জার্মানির চান্সেলার বলেছেন, এখন থেকে জার্মানির বার্ষিক অর্থনৈতিক উৎপাদনের দুই শতাংশের বেশি প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে। অন্যদিকে রাশিয়াতেও য্দ্ধুবিরোধী আন্দোলনকারীরা ইউক্রেনে মস্কোর আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আরও জোরদার করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার আক্রমণ শুরুর পর থেকে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ প্রদর্শনের জন্য তিন হাজারেরও বেশি প্রতিবাদকারীকে এখন পর্যন্ত আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
ইউক্রেনে ৪৩০০ রুশ সেনা নিহত : রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা। রোববার (২৭ ফেব্রুয়ারি) চতুর্থ দিনের মতো যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধে রুশ ক্ষয়ক্ষতির একটি তালিকা প্রকাশ করেছেন ইউক্রেনের উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী হানা মালিয়া। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেন, এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৩০০ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছেন। তবে বিবিসি এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। রাশিয়াও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো সংখ্যা প্রকাশ করেনি।
ইউক্রেনের মন্ত্রীর দেওয়া তালিকায় ২৭টি বিমান, ২৬টি হেলিকপ্টার, ১৪৬টি ট্যাংক, ৭০৬টি সাঁজোয়া যান, ৪৯টি কামান, ১টি বুক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ৪টি গ্র্যাড রকেট লঞ্চ সিস্টেম, ৩০টি যানবাহন, ৬০টি ট্যাঙ্কার, ২টি ড্রোন ও ২টি নৌকা ধ্বংসের কথা বলা হয়।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।