বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত দৌলতখানের মদনপুর

প্রত্যন্ত গ্রাম কিংবা দুর্গম চর এখন আর ডুবে নেই কালো অন্ধকারে। চারদিকে যেন আলোর রোশনি। নদীর তলদেশ ফুঁড়ে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে দুর্গম পথেও ছুটেছে বিদ্যুৎ লাইন। গ্রাম, চর, পথে-প্রান্তরে পৌঁছে গেছে বিদ্যুতের আলো। গেল এক যুগে বিদ্যুৎ খাতে অর্জিত হয়েছে অভূতপূর্ব সাফল্য। দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছরের মাথায় দুর্গম এসব এলাকার মানুষের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে আশার আলো। দুর্গম চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বদলে গেছে দরিদ্র মানুষের জীবনযাত্রার মান। তৈরি হয়েছে নিত্যনতুন জীবিকার পথ। বিদ্যুতের পাশাপাশি গ্যাসেও স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছে ভোলা জেলা। সে লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, কয়েক বছর আগেও বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য গ্রাহকদের নানা ঝামেলায় পড়তে হতো। এখন সেই ছবি পুরোটাই পাল্টে গেছে। এর মধ্যে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বিদ্যুতের লাইন নেওয়া ছিল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আবার মানুষ নিজের গ্রাম, আদি নিবাস ছেড়ে মাঠে-প্রান্তরে কিংবা নদীর মাঝে ভেসে উঠা নতুন চরাঞ্চলে বাড়িঘর তুলেছে। ফলে বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদার জোগান দেওয়ার পাশপাশি সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন স্থাপনসহ নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিদ্যুৎ বিভাগকে এগোতে হচ্ছে। এসব প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সাফল্যের দৃষ্টান্তও রেখেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
গ্রামে বিদ্যুৎ যাওয়ার ফলে কৃষি অর্থনীতিতে পড়েছে ইতিবাচক প্রভাব। কৃষি উৎপাদনে বেড়েছে আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার। তৈরি হয়েছে জীবিকার নতুন পথ। ভোলা সদর দৌলতখান উপজেলার মদনপুর ইউনিয়ন এখন পল্লী বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত।
মদনপুর ইউনিয়নের চরপদ্মা গ্রামের শাহে আলম মেম্বার জানান, আমাদের এই প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে বিদ্যুৎ আসায় জনগণের বসবাস। ব্যবসা-বাণিজ্য এবং কৃষি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। এই বিদ্যুৎ পেয়ে মদনপুর এলাকাবাসী অত্যন্ত খুশি আমরা আশাবাদী এই বিদ্যুৎ ব্যবহার করে তারা বিভিন্ন ফার্ম, কৃষি ক্ষেতে সেচের ব্যবস্থা করে ফসল চাষ করবে বলে জানান।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।