তজুমদ্দিনের মেঘনায় জালপাতা নিয়ে সংঘর্ষ ॥ আহত-৬

ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনা নদীতে জালপাতা নিয়ে সংঘর্ষে ৬ জেলে আহত হয়েছে। আহতদেরকে পুলিশ উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় একজনকে তজুমদ্দিন হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোন পক্ষই থানায় কোন অভিযোগ করেনি।
আহত জেলে সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ফকরুল আলম জাহাঙ্গীর চেয়ারম্যানের আড়তের জেলে মন্নান মাঝির জেলে-ট্রালার মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে চৌমুহনী সংলগ্ন নদীতে জালপাতে। এসময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দারের আড়তের জেলে কালাম মাঝি এসে তাদের জাল তুলে নিতে বলে। তারা জাল তুলতে অস্বীকৃতি জানালে কালাম মাঝির জেলেরা তাদের জাল কেটে দেয়ার চেষ্টা করে। এনিয়ে উভয় মাঝি মাল্লাদের মাঝে কথা কাটাকাটি ও একপর্যায়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এসময় পাশেই নদীতে জাল পাততে থাকা ভাইস চেয়ারম্যানের আড়তের অপর জেলে ফিরোজ মাঝি, মালেক মাঝিসহ তিন জেলে-ট্রলার যোগ দেয় কালাম মাঝির সাথে। চার ট্রলারের জেলেরা একযোগে হামলা ও এলোপাতাড়ি মারপিট চালিয়ে ৬ জেলেকে আহত করে বলে অভিযোগ করেন মান্নান মাঝির জেলেরা। এ ঘটনায় মান্নান মাঝি (৪৫), তার মাল্লা নুর ইসলাম (৪২), ফিরোজ (৩২), ফজলে করিম (৩৭), জসিম (৪০), জিহাদ (১৫) আহত হয়। এদের মধ্যে নুরুল ইসলামকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ফকরুল আলম জাহাঙ্গীর জানান, ঘটনা শুনে নদীতে স্প্রিড বোর্ড পাঠিয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বিষয়টি আমরা মিমাংসার চেষ্টা করছি।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন পোদ্দার জানান, “নদীতে জাল পাতাকে নিয়ে আমার জেলেদের সাথে মারামারির সংবাদ পেয়েছি। তার এক জেলেকেও পিটিয়ে আহত করার দাবী করেন”।
থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক জানান, মারামারির সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্দার করে। একজন হাসপাতালে ভর্তি আছে। কোন পক্ষই এখন পর্যন্ত অভিযোগ দেয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।