যুদ্ধ কি বেধেই যাচ্ছে ?

ইউক্রেন সীমান্তে কাছে লাখের বেশি সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। এটি পশ্চিমা বিশ্বের পুরনো দাবি। বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন দাবি করেছে, ইউক্রেন সীমান্তে আরও এক লাখ সেনা মোতায়েন করেছে রাশিয়া। যেকোনো মুহূর্তে তারা আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইউক্রেনে হামলার জন্য ৭০ শতাংশ প্রস্তুতি নিয়েছে রাশিয়া। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে যুদ্ধ কি বেধেই যাচ্ছে ?
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) মার্কিন নাগরিকদের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতর জানায়, ইউক্রেনে রুশ হামলার ক্রমবর্ধমান হুমকি ও করোনার কারণে সেখানে এখন কেউ ভ্রমণ করবেন না। আর যারা এখন ইউক্রেনে অবস্থান করছেন, তাদের শিগগিরই বাণিজ্যিক বা ব্যক্তিগত উপায়ে ওই দেশ ত্যাগ করা উচিত। এছাড়া বৃহস্পতিবার এনবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বাইডেন বলেছেন, আমরা বিশ্বের সবচেয়ে বড় সেনাবাহিনীর মোকাবিলা করছি। এবার পরিস্থিতি একেবারেই আলাদা। পরিস্থিতি যেকোনো দিকে মোড় নিতে পারে।
বাইডেনকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, পরিস্থিতি খারাপ হলে কি যুক্তরাষ্ট্র নাগরিকদের উদ্ধার করতে সেনা পাঠাবেন? বাইডেন জানিয়ে দেন, সেই আশঙ্কা নেই। যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সেনা যদি একে অন্যের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে, তাহলে বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যাবে। আমরা এখন আলাদা বিশ্বে বসবাস করছি। আগের অবস্থা আর নেই। এদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে রাশিয়া ও বেলারুস যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ১০ দিন ধরে চলবে এই মহড়া। ২০১৪ সালে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া দখল নেওয়ার আগে অঘোষিত এক সেনা মহড়া দেয় রাশিয়া। এরপরই ক্রিমিয়া দখল নেয় দেশটি।
সর্বশেষ রাশিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ইউক্রেনকে সমুদ্রে প্রবেশে বাধা দিচ্ছে দেশটি। নৌ মহড়া নিয়ে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা জানান, আজোভ সাগর সম্পূর্ণ অবরোধ করে রাখা হয়েছে। কৃষ্ণ সাগর প্রায় সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে রুশ বাহিনী। এছাড়া, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের কাছে যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছে তা ইতোমধ্যে নাখোশ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

তথ্যসূত্র: বিবিসি, রয়টার্স, সিএনএন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।