তজুমদ্দিনে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় স্কুল ছাত্র নিহত ॥ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন

তজুমদ্দিনের সড়কে মোটরসাইকেল দূর্ঘটনায় রাফি (১৩) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। বিপরীতমুখী একটি নছিমনের সাথে মুখোমুখি ধাক্কা লাগলে এ দূর্ঘটনা ঘটে। পরে অভিভাবকদের আপত্তি না থাকায় ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়েছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, জরুরী কাজ শেষে কাছিকাটার পোল হতে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলো রাফি ও তার বন্ধু ইয়ামিন। এসময় শম্ভুপুর খাসের হাট থেকে ফকির হাটমুখী একটি নছিমন বেপারী বাড়ির সামনে মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী রাফি ও ইয়ামিন গাড়ি থেকে ছিটকে পড়ে মারাত্মকভাবে আহত হয়। পরে স্থানীয়রা দুই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। শুক্রবার রাত ৯টায় শেবাচিমের কর্তব্যরত ডাক্তার রাফিকে মৃত ঘোষণা করেন। ইয়ামিন বর্তমানে ঐ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা দুজনেই উপজেলার শম্ভুপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। নিহত রাফি বাড়ি তজুমদ্দিন উপজেলা চাঁদপুর ইউনিয়নের আড়ালিয়া গ্রামের হাওলাদার বাড়ির আশিকের এবং ইয়ামিন একই এলাকার জলিল মহাজনের ছেলে।
অভিযোগ পাওয়া গেছে, ভোলা পল্লী বিদ্যুতের এক ঠিকাদারের মালামাল পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত ফিটনেসবিহীন একটি নছিমনের ধাক্কায় দুর্ঘটনার শিকার দুই শিক্ষার্থী। ও-ই ঠিকাদারের অপর একটি নছিমন পুলিশ আটক করেছে। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িত ড্রাইভারকে এখনো আটক করতে পারেনি পুলিশ। নিহত রাফির পরিবার এখন পর্যন্ত থানায় কোন লিখিত অভিযোগ দাখিল করেননি। তবে, অভিভাবক দুর্ঘটনার বিষয়ে কোন অভিযোগ না করে অনাপত্তি দিয়ে লাশ ময়না তদন্ত ছাড়াই দাফন সম্পন্ন করেছে বলে জানা গেছে।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইনচার্জ এস.এম জিয়াউল হক বলেন, একই মালিকের অপর একটি নসিমনকে আটক করা হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।