হেভিয়েট প্রার্থীদের হারিয়ে বিজয়ী তিন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান কামাল ছোটন মিঠুর নদীভাঙ্গন রোধই বড় চ্যালেঞ্জ

 

৫ম ধাপে হয়ে যাওয়া ভোলা সদর উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের ৯টি নৌকা ও ৩টিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন।
নৌকা প্রতিকে বিজয়ী হওয়া ইউনিয়নের চেয়ে স্বতন্ত্র বিজয়ীদের ইউনিয়নে জনগণের মাঝে উৎসমুখর পরিবেশ চোঁখে পরার মত ছিলো ৫ই জানুয়ারীর দিন।
হামলা, নির্যাতনে দমন করতে পারেনি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থকদের, পূর্ব ইলিশা, ভেদুরিয়া ও রাজাপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকরা নিজেরা নিজেদের প্রার্থী মনে করে নিজ নিজ জায়গা থেকে নির্বাচনী প্রচারণা করে রক্তচক্ষু কে উপেক্ষা করে ভেদুরিয়া ও পূর্ব ইলিশায় আনারস এবং রাজাপুরে মোটরসাইকেল কে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেন।
নির্বাচনী মাঠে প্রভাব বিস্তার নৌকা সমর্থকরা করলেও ভোটারদের মন জয় করতে তারা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন চলাকালীন সময়ে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কর্মীদের উপর হামলা, নির্বাচনী প্রচারে বাধা,অফিস ভাংচুর হুমকি দামকিতে সাধারণ ভোটাররা তাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে গোপন ব্যালটে স্বতন্ত্রদের বিজয়ী করেছেন।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নে নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল হাই মাষ্টারের সমর্থকরা দফায় দফায় হামলা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামাল হোসেন এর কর্মীদের উপর এমন কি প্রতি কেন্দ্রে ২শ করে লগি বৈঠা রাখার ও ঘোষনা দিয়েছেন যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিউজ হয়েছেন।
হামলা নির্যাতন লগি বৈঠার হুমকি কে ভয় না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী কে বিজয়ী করেছেন ভেদুরিয়ার ভোটাররা।
ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ হোসেন বলেন, ভেদুরিয়াবাসী তাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কামাল হোসেন কে বিজয়ী করেছেন, এবার কামাল হোসেন তার জায়গা থেকে ভেদুরিয়াবাসীর জন্য কি করেন সেটাই দেখার বিষয়।
তিনি আরো বলেন, কামাল হোসেন অনেক আগ থেকেই সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত, এখন যেহেতু জনতার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তাহলে ভেদুরিয়ার জন্য এমন কিছু করবেন যা ভেদুরিয়ার জনগণ এই নির্বাচনের মত আগামী নির্বাচনেও কামাল হোসেন কে নির্বাচিত করে।
ভেদুরিয়া মাঝির হাট এলাকার এক শিক্ষক বলেন কামাল হোসেন এর বড় চ্যালেঞ্জ নদীভাঙ্গন থেকে ভেদুরিয়া কে রক্ষা করা।
ভোলার বন্দরনগরী হিসেবে পরিচিতো পূর্ব ইলিশা থেকে আনারস প্রতিক নিয়ে হেভিয়েট প্রার্থীদের হারিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন আনোয়ার হোসেন ছোটন।
নির্বাচনী মাঠে ছোটনের কর্মী সমর্থক এমন কি তার স্ত্রী ও ভাইদের কে পিটিয়ে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে তখন নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর কর্মীদের বিরুদ্ধে।
নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সমর্থকদের নির্বাচন চলাকালীন সময়ের নির্যাতন ও স্বজনদের হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছোটনের কান্না ভোটারদের হ্নদয়ে আঘাত করেছে যার প্রতিফলন হিসেবে ৫ই জানুয়ারী বিপুল ভোটে ছোটন নির্বাচিত হয়।
চাঁদাবাজ মুক্ত ইলিশাঘাট, জুয়া ও মাদকমুক্ত করা ছোটনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন ইলিশার সচেতন মহল।
ইলিশা জংশনের হাসান কেরানী বলেন, জনগণ গোপনে ব্যালটে ছোটন কে বিজয়ী করেছেন এবার ছোটন তার জায়গা থেকে চাঁদাবাজ, মাদক ও জুয়ামুক্ত করে একটি আর্দশ ইউনিয়ন গড়ে তুলতে পারলে আগামী নির্বাচনে জনগণ গত ৫ই জানুয়ারীর মত তাকে বিজয়ী করবে ইনশাল্লাহ।
রাজাপুরের নৌকা প্রতিক কে হারিয়ে বিজয়ী হয়েছেন রেজাউল হক মিঠু চৌধুরী।
নির্বাচনী মাঠে হামলা, নির্যাতন, বাড়ীঘর ভাংচুরের মত ঘটনা ঘটলেও মাঠ থেকে সরে দাড়াইনি মিঠু চৌধুরীর সমর্থকরা।
নৌকা সমর্থকদের নির্যাতনের মাত্রা যতটা বৃদ্ধি পেয়েছেন মোটরসাইকেল এর ভোট আরো বেড়েছে, ৫ই জানুয়ারী জনগণ প্রমাণ করেছেন।
বিজয়ী মিঠু চৌধুরীসহ স্বতন্ত্র তিন চেয়ারম্যানদের বড় চ্যালেঞ্জ নদীভাঙ্গন রোধ করা।
ভেদুরিয়ার তেতুলিয়া নদী, পূর্ব ইলিশার ২নং ওয়ার্ড থেকে কাচিয়ার সিমানা পর্যন্ত এবং রাজাপুর।
নদীভাঙ্গন রোধ হবে না নৌকায় ভোট না দিলে এমন প্রচারে তিন ইউনিয়নের জনগণের মাঝে কিছুটা ভয় কাজ করলেও বিজয়ী হয়ে ভোলা সদর আসনের সাংসদ তোফায়েল আহমেদ এমপি এর ঢাকা বনানী বাসায় তিন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং ভাইরাল হওয়া ছবিতে আন্তরিকতা দেখে স্বস্তি পেয়েছেন ভেদুরিয়া, পূর্ব ইলিশা ও রাজাপুরের জনগণ।
তিন ইউনিয়নবাসীর ধারণা তোফায়েল আহমেদের স্নেহ যেহেতু পেয়েছে নদীভাঙ্গন রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে জনতার রায়ে নির্বাচিত হওয়া ভেদুরিয়ার কামাল, পূর্ব ইলিশার ছোটন ও রাজাপুরের মিঠু।
পরাজিত প্রার্থীরা ষড়যন্ত্র করে উন্নয়নে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করবে সেদিকে দৃষ্টি রেখে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানরা দলমত নির্বিশেষ সবাই কে নিয়ে কাজ করার আহ্বান করেছেন সচেতন মহল।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।