জহুরুল ইসলাম নকিব এর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন

ভোলা জেলা আ’লীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকিব দলের নিবেদিত নীপিরিত ও নির্যাতিত কর্মীদের আপনজন বিপদ আপদের বন্ধু হিসেবে সকলের কাছে অতি সু-পরিচিত একটি নাম। ভোলার তৃণমূল কর্মীদের কাছে নকিব একটি চাঁদের মত আলোকিত মানুষ। দলের কর্মীরা কোন বিপদে পড়ে ফোন করলে তিনি যথা সম্ভব দলের নির্দেশ মেনে প্রিয় নেতার সাথে যোগাযোগ করেই তাদের সকল সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করেন।
আ’লীগের নিবেদিত কর্মী রবু বলেন, নকিব ভাই হলো আমাদের মত অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত কর্মীদের আপনজন ও শেষ আশ্রায় স্থল। রবু বলেন নকিব ভাই ভোলার বিএনপি জামাতের কাছে বিষ বৃক্ষ একটি নাম। রাজনীতিতে আছে তার দূর দৃষ্টি সম্পন্ন মেধা ও সকল নির্যাতিত কর্মীর কাছে উজ্জ্বল আলো। প্রিয় নেতা আলহাজ্ব তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয়ের নির্দেশে প্রতিটি কর্মীর খোঁজ-খবর রাখেন এই কর্মী বান্ধব নেতা জহুরুল ইসলাম নকিব।
জহুরুল ইসলাম নকিব বলেন, কর্মীরা আমাকে ভালোবাসে আমিও আমার প্রিয় নেতা জননেতা তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশে তাদেরকে নিয়ে সংগঠন করি এবং আমি আমার ভালোবাসা তাদের জন্য উজাড় করে দেই। তিনি বলেন, আমি রাজপথের সংগ্রামকে ভালোবাসি। রাজপথই আমার ঠিকানা এবং রাজপথের কর্মীর জন্য আমি আমার সব কিছু উজাড় করে দিতে প্রস্তুত। রাজপথ থেকে বেড়ে উঠা কর্মীরাই আমার প্রান। তাদের বিপদে আমি নকিব সর্বদা প্রস্তুত।
ভোলার রাজনীতিতে মাঠ কাপানো তৃণমূল থেকে বেড়ে উঠা ছাত্রলীগ থেকে আজ জেলার শীর্ষ স্থানীয় ও জনপ্রিয় নেতা এবং তৃণমূল কর্মীদের আস্তা ও বিশ্বাসের অপর নাম জহুরুল ইসলাম নকিব। যার রাজপথের সংগ্রাম ও মাঠের মাঠ কাপানো ভূমিকা ছিলো প্রসংশনীয়। দলকে সব সময় বিএনপি-জামায়াতের হাত রক্ষা সহ সু-সজ্জিত করাই ছিলো জহুরুল নকিবগংদের সংগ্রাম।
দলের কর্মীদের অসুস্থতা, রাজপথের কর্মীদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় আহত এবং অসহায় কর্মীদের পাশা দাড়ানো, কর্মীদের মৃত্যুর খবর শুনে জানাযায় অংশগ্রহণ তাদেরকে সহযোগিতা করাই ছিলো জহুরুল ইসলাম নকিব এর মুল লক্ষ।
জহুরুল ইসলাম নকিব দলের বিপর্যে ও দলের কর্মীদের ছেড়ে কখনো সরে যাননি। তিনি ভোলার ২০ লক্ষ লাখ মানুষের অভিভাবক জীবন্ত কিংবদন্তী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব ৬৯ এর মহানায়ক সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয়ের বিশ্বস্ত সিপাহী শাহলা হিসেবে প্রিয় নেতার নির্দেশে জেলার সকল কার্যাক্রম করে পরিচালনা করে আসছে। তার রাজনৈতিক জীবনে প্রিয় নেতাকে ভালোবেসে জীবনকে বাজি রেখে ভয়কে জয় করে মরনকে পরোয়া না রেখে রাজপথে বহুবার সংগ্রাম ও হত্যার ষড়যন্ত্র থেকে বেঁচে উঠা সংগামী জহুরুল ইসলাম নকিব জেলা আ’লীগকে শক্তিশালী করতে সহযোগীতা করেছেন।
করোনাকালিন সময় তিনি পরিবার পরিজন ঢাকায় রেখে জীবনকে বাজি রেখে জনগণের কল্যাণে ভোলায় তাদের পাশে থেকে কাজ করে গেছেন এবং ব্যক্তিগত উদ্যেগে নগত অর্থ খাদ্যে সামগ্রী সহ সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ভোলা সদর উপজেলা ও শহরের বিভিন্ন লঞ্চঘাট সহ দুর্গম চরে।
ভোলা জেলা আ’লীগের উজ্জ্বল নক্ষত্র একজন জহুরুল ইসলাম নকিব এর বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন ঃ আলহাজ্ব জহুরুল ইসলাম নকিব মৃত আব্দুল হাশিম পাটোয়ারী ছেলে। তিনি জন্মগ্রহণ করেন ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নে। তিনি বসবাস করেন ভোলা পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী সদর আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ মহোদয়ের বাসভবনের পাশে শান্তির নীড় ভবনে।
জহুরুল ইসলাম নকিব জন্মগ্রহণ করেন ১৯৬৫ সালের ১ জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখে। তিনি বর্তমানে দুই সন্তানের জনক। ১৯৮৯ ইং সালে ভোলা জেলা ছাত্রলীগের পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯৭ইং সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যান্ত ভোলা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৪ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যান্ত ভোলা জেলা আ’লীগের ১ নং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে থেকে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যান্ত ভোলা জেলা আ’লীগের দুই বার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
জেলা আ’লীগের পদে থেকেও পাশা পাশি তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে ও দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯৭ সালে তিনি ভোলা সদর উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়ন থেকে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। পরবর্তিতে ২০১০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যান্ত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সততা ও নিষ্ঠার সাথে সফলতার সাথে জনপ্রতিনিধিত্ব করেন। সর্বশেষ তিনি ভোলা পৌরসভার নির্বাচনে মেয়র পদে জনপ্রিয়তার সাথে লড়াই করে অবশেষে দলের হাইকমান্ডের নির্দেশে জননেতা জীবন্তকিংবদন্তী তোফায়েল আহমেদ এমপি মহোদয়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তিনি সরে দাড়িয়ে দলের প্রতি আস্তা রেখে সকল কার্যক্রম পূর্বের মত পরিচালনা করে আসছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।