লালমোহনে ব্রীজ নয় যেন মরণ ফাঁদ (!)

লালমোহন উপজেলার লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়ন ও ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের চতলা এলাকার জনবহুল যাতায়াত সড়কের কাজীর বাজারের উত্তর পাশে পাটাওয়ারীর খালের উপর নির্মিত ব্রিজটির দক্ষিণ মাথায় ভেঙ্গে গিয়ে বিশাল গর্তে পরিনত হয়েছে। ব্রিজটি এখন চলাচলকারী জনসাধারণের জন্য মারন ফাঁদে পরিনত হয়েছে। ব্রিজটি ভাঙ্গার পরপরই বড় ও মাঝারি ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অনেক যান বাহন এখনও ঝুঁকি নিয়ে চলছে। এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে ছোটবড় বহু দুর্ঘটনা। যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে মারাতœক দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রাণহানিও। তবুও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিক্সা, অটো, ভ্যান ও মটর সাইকেল।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার ধলীগৌরনগর ইউনিয়নের মধ্যবর্তী বয়ে যাওয়া বেতুয়া নদীর উপশাখা পাটাওয়ারীর খালের উপর চতলা, কুমারখালী ও উত্তর চরমোল্লাজী আজিজীয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন ব্রিজটি দীর্ঘ কয়েক মাস যাবৎ ভেঙ্গে যানবাহন চলাচলে অনুপযোগী হয়ে রয়েছে। এ ব্রিজের উপর দিয়ে উপজেলা শহর থেকে লর্ডহার্ডিঞ্জ বাজারে শতশত যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহন চলাচল করত। কিন্তু ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় এখন আর আগের মতো যান চলাচল করতে পারছেনা, দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীবাহী ও মালবাহী যানবাহনের চালকদের। স্থানীয়রা ব্রিজটির উপর কিছুদিন কাঠ দিয়ে কোন রকমে হালকা যানবাহন পারাপার করলেও এখন তাও ভেঙ্গে যায়। বর্তমানে ভাংগা ব্রিজটির উপর দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে রিক্সা, ভ্যান, অটো ও মটর সাইকেল। পথচারী ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ব্রিজটির উপর দিয়ে।
স্থানীয় বাসিন্ধা মাও মোঃ মোসলেহ উদ্দীন ও আনিচল হক মিয়া বলেন, উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে জন বহুল ও যানবাহন যাতায়াত করে এ সড়ক দিয়ে, ব্রিজটি ভাঙ্গার কারনে যানবাহন আসা যাওয়া করতে পারে না, দীর্ঘ দিন ব্রিজটি ভেঙ্গে রয়েছে দেখার যেন কেউ নেই।
সফিজল ও বজলুর রহমান নামের ২ জন ব্যক্তি বলেন, প্রতি নিয়ত এই ব্রিজ দিয়ে কয়েক শত মানুষ ও যাত্রী বাহী গাড়ী আসা যাওয়া করে থাকে। ব্রিজটা পূননির্মাণ বা মেরামত করা জরুরী। স্থানীয় মাসুদ মিয়া বলেন, ভাঙ্গা যায়গায় পরে আমি মারাত্মক আহত হয়েছি। চরম ঝুঁকি নিয়ে আসা যাওয়ার পথে ব্রিজটি ভাঙ্গার কারণে অনেক মানুষ বিভিন্ন দূর্ঘটনায় পতিত হয়েছেন।
গিয়াস উদ্দিন রাসেল বলেন, এই ব্রিজটি দিয়ে যাত্রী বাহী গাড়ী চলাচলের একমাত্র মাধ্যম। প্রতিদিন শতশত মানুষ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র ছাত্রীরা এই ব্রিজ দিয়ে মারাতœক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে । সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত বড় কোন দুর্ঘটনা না ঘটার আগেই ব্রিজটি ভেঙ্গে নতুন করে তৈরী করা।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা প্রকৗশলী মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, ব্রিজটি সম্পর্কে আমরা অবগত আছি। রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্ধ দিয়ে ব্রিজটি শিঘ্রই মেরামত করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।