চরফ্যাশনে ভুয়া খনকার ও সহযোগী গ্রেফতার

ভোলার চরফ্যাশনে চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা এবং সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগে ভূয়া খনকার বিল্লাল (৩৫) ও তার সহযোগী সহোদর ভাই জয়নালকে (২৩) গ্রেফতার করেছে শশীভূষণ থানা পুলিশ। এ ঘটনায় মিলি সিকদার নামে এক নারী বাদী হয়ে নির্দিষ্ট ৬ জন এবং অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়েরের পর বুধবার তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত বিল্লাল ও জয়নাল উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডস্থ মৃত আলী খনকারের ছেলে। শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাদী স্থানীয় একটি দৈনিকের সংবাদকর্মী মিলি সিকদার অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন যাবত কিছু দালালের সহযোগিতায় বিল্লাল পানি পড়া, তাবিজ কবজ, সুতা পড়া, ও জ্বিন-পরীর মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার নামে প্রতারণা করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে মিলিসহ কয়েকজন সংবাদকর্মী মঙ্গলবার দুপুরে রোগী সেজে বিল্লালের বাড়িতে যান। মিলি নিজেকে নিঃসন্তান জানিয়ে চিকিৎসা চাইলে বিল্লাল মিলির কাছ থেকে তদবিরের ফি বাবত ১ হাজার ৬শ’ টাকা নেন। এরপর ঘরের মধ্যে চাদর টানিয়ে বৈদ্যুতিক বাতি নিভিয়ে অন্ধকার ঘরে জ্বিন-পরী হাজিরের নামে মিলিকে বলেন, আপনার সন্তান হওয়ার তদবির নিতে হলে ২২ হাজার টাকা লাগবে। অথচ মিলি এক কন্যা সন্তানের জননী। এসময় মিলি নিজেকে সংবাদকর্মী পরিচয় দিয়ে এমন প্রতারণার কারণ জানতে চাইলে বিল্লাল সংবাদকর্মীদের ওপর চড়াও হয়। এক পর্যায়ে তার ভাই সহ কয়েকজন ব্যক্তি সংবাদকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের মোবাইল, ক্যামেরা, স্বর্ণের চেইন, ও পরিচয় পত্র নিয়ে যায়। এসময় স্থানীয়রা সংবাদকর্মীদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় মিলি সিকদার বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ করলে শশীভূষণ থানা পুলিশ প্রতারক বিল্লাল ও তার ছোট ভাই জয়নালকে গ্রেফতার করেন।
শশীভূষণ থানার ওসি মিজানুর রহমান পাটোয়ারী জানান, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুই ভাই বিল্লাল ও জয়নালকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।