শিবপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় বসত বাড়ি ভাংচুর, গোয়াল ঘরে অগ্নিসংযোগ

পঞ্চম ধাপে সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় শিবপুর ইউনিয়নে

আতঙ্কে দিন কাটাছে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী
সিরাজুল ইসলাম রাকিব এর কর্মী সমর্থকরা। নৌকা প্রতীকের নব-নির্বাচীত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন এর কর্মীরা নানা রকম হুমকি, বোমাবাজি, বসতবাড়ি ভাংচুর, গোয়াল ঘরে অগ্নিসংযোগ ও অমানবিক অত্যাচার করছে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

শনিবার (০৮ জানুয়ারি) বিকেলে শিবপুর ইউনিয়ন ৮ নং ওয়ার্ড এর হাসান আলী ব্যাপারী বাড়ির মাংস ব্যবসায়ী হাসান আলী অভিযোগ করে বলেন, আমার পরিবার চশমা প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিব এর সমর্থন করায় নির্বাচনের আগে আমার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নানা রকম হুমকি দিয়েছে। তার একদিন পরে রতনপুর বাজারে আমার মাংসের দোকানে ভাংচুর করে উপরের চালা নিয়ে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। আইদিন রাতে আমার গোয়াল ঘরে বোমামেরে গরুর পা উরিয়ে দেয়। এর পর তারা নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে গতকাল রাতে পূনরায় আমার গোয়াল ঘরের পাশে থাকা ৫৫০০০/ হাজার টাকার খড়ের চাউলিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান এর ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচার থেকে নিরাপত্তা চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।

অপর দিকে সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম রাকিব এর সমর্থকরে নির্বাচনের প্রচারনা করায় গতকাল রাতে পৌরসভা ০৯ নং ওয়ার্ড গণপূর্ত অফিস সংলগ্ন আবুল কালাম আজাদ (আবু মিয়া) নামের এক সমর্থকের বাসার বাহিরে থেকে দরজা আটকেদিয়ে দেয়ালে ও সিরিতে মানুষের মল দিয়ে অমানবিক অত্যাচারের অভিযোগ করেন তিনি।

এছাড়াও শিবপুর ইউনিয়নে সতন্ত্র সমর্থকরায় অধশত পরিবার নব-নির্বাচীত চেয়ারম্যান এর ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচারে নিরাপত্তা হীনতা ভূকছেন। এসময় তারা জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানান।

এ বিষয়ে নব-নির্বাচীত চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন এর সাথে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

আর ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।