নির্বাচন কারচুপির অভিযোগে প্রধান নির্বাচন কমিশনে ইউপি সদস্য প্রার্থীর আবেদন

ভোলার শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের এক কেন্দ্রে পূনরায় ভোট গ্রহনের দাবি

ভোলা সদর উপজেলার ৭নং শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭নং ওয়ার্ডে ৪৬ নং রতনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে ফলাফল প্রত্যাত্থান করে পূনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য মোঃ শরিফ হোসেন। তিনি রোববার দুপুরে ভোলা শহরের একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে ৭নং শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পরাজিত ইউপি সদস্য মোঃ শরিফ হোসেন বলেন, আমি গত ৫ জানুয়ারি শিবপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে ৪৬ নং রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করি। কিন্তু আমার প্রতিপক্ষ ইউপি সদস্য প্রার্থী মোরগ প্রতীকের মোসলেহ উদ্দিন মসুর লোকজন আমাকে ও আমার পোলিং এজেন্টদের সকাল ৯টার সময় কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। বিষয়টি ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারকে জানালে তিনি উপরস্থ কর্মকর্তাদের জানানোর জন্য বললে আমি ভোলা জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কে জানাই।
এছাড়াও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাচন কাজে নিয়োজিত র‌্যাব কে জানাই। কিন্তু কেউ কোন কর্ণপাত করেননি। তাই নির্বাচনের দিন আমার মোরগ প্রতীকের প্রতিপক্ষ মোসলেহ উদ্দিন মসু আমাকে ও আমার পোলিং এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়ে নিজেদেরকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। যা নির্বাচনের আইন ও বিধি বহির্ভুত। তাই উক্ত ফলাফল প্রত্যাত্থান করে পূনরায় ভোট গ্রহনের দাবি জানাচ্ছি। পরাজিত ইউপি সদস্য মোঃ শরিফ হোসেন এ সংক্রান্ত একটি আবেদন রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে পাঠিয়েছেন বলেও জানান তিনি। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা দায়ের করবেন বলেও জানান এ মেম্বার পদপ্রার্থী।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ভোলা সদর উপজেলার ইউপি নির্বাচনের রিটার্ণিং অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান খান জানান, ভোটে পরাজিত হয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এনে এ পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশী প্রার্থী নির্বাচন অফিসে আবেদন করেছেন। তিনি আরও বলেন, বেসরকারিভাবে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর আসলে নির্বাচন অফিসারের কিছু করার থাকে না। তবে, এ বিষয়ে আদালতে মামলা দায়ের করা হলে একমাত্র আদালাতই ভোট পূনরায় গননা করতে পারেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।