ভেলুমিয়ায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ

ভোলার ভেলুমিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম মাস্টারের পুত্র ও জেলা যুবলীগের নেতা মনিরুজ্জামান লিটনের গাড়িতে থাকা তার পরিবারের উপর অর্তকির্ত সন্ত্রাসী হামলা ও গাড়ী ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (৭ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় ভেলুমিয়া বাজার চত্ত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

সন্ত্রাসী হামলার স্বীকার চেয়ারম্যান পুত্র লিটন বলেন, আমি বাজারে ফল কেনার জন্য গাড়ি দাড় করাইলে কামাল খান গাড়ির সামনে এসে গাড়িটি সরিয়ে নিতে বলে। তখন ড্রাইভার অপরাগতা জানালে তার সাথে তর্কা তর্কি হয়। তার কয়েক মিনিট পরে সন্ত্রাসী কামাল খানের নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠি-সোটা নিয়ে আমাকে সহ আমার চাচা, দুই বোন ও ড্রাইভারকে বেধরক মারধর করে। সন্ত্রাসী হামলায় আহতরা হলেন-চেয়ারম্যান পুত্র মনিরুজ্জামান লিটন, চাচা পুলিশের হাবিদার (অবঃ) কাঞ্চন আলী, বোন রাবেয়া, ছালমা বেগম ও গাঁড়ির ড্রাইভার আজাদ। ঘটনায় ভেলুমিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মইনুল হোসেন এসে পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে ভোলা সদর থানার ওসি কে অবগত করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে আমাদের উদ্ধার করেন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। হাসপাতালে আমার চাচাকে আনা হলে তার অবস্থা বেশ গুরতর হওয়ায় তাকে কর্তব্যরত ডাক্তার ঢাকা রেফার করেন।


ঘটনার বিষয় অস্বীকার করে অভিযুক্ত কামাল খান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান এর ছেলে লিটন আমাকে তার গাঁড়ি দিয়ে চাঁপা দিতে চাইছিল। গাড়ীর ধাক্কায় আমি পড়ে লেগে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। তাদের উপর কোন হামলা হয়নি।
চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাষ্টার জানান, হঠাৎ গাঁড়িতে হামলা এটা দুঃখজনক। কারণ আমার ছেলের গাঁড়ি তো সবাই চিনে। গাঁড়িতে থাকা আমার ভাই, ছেলে ও মেয়ে সহ গাড়ির ড্রাইভারকে মারধর করে জখম করেছে। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষ বিচার দাবি করছেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন জানান, এ ঘটনায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত বেশ কয়েক জনকে আসামী করে মামলা করা হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।