কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীরবিক্রম) বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকার ঘরে ঘরে চাকরি ও ১০ টাকা চাল খাওয়ানোর কথা বলে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। এই স্বৈরাচার সরকারের পালানোর সময় এসেছে। তারা শিঘ্রই পায়ে হেটে ও নদী সাতড়িয়ে দাদাদের দেশ পালিয়ে যাবে। ওই দেশ ছাড়া কোথাও তারা জায়গা পাওয়া পাবেনা। বুধবার বিকালে ভোলা পৌর শহরের নলিনী দাস স্কুল মাঠে বিএনপি’র চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ভোলা জেলা বিএনপির আয়োজনে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে এ কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি আরো বলেন, আজ সারাদেশের মানুষ রাতের ভোটের অবৈধ সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অতি শিঘ্রই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সু-চিকিৎসা করা হবে।
মেজর হাফিজ আরো বলেন, সরকার ম্যাডাম খালেদা জিয়ার সু-চিকিৎসা করার সুযোগ দিচ্ছে না। খালেদা জিয়া সাবেক রাষ্ট্রপতির স্ত্রী, তিনি স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী। অথচ আজ তিনি সু-চিকিৎসা পাচ্ছেন না এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারছেন না। ওনাকে মিথ্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। এই স্বাধীন দেশে এ কলঙ্ক, এই লজ্জা কোথায় রাখবো। তিনি আরো বলেন, আজ সারা দেশের মানুষ রাতের ভোটের অবৈধ সরকারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। অতি শীঘ্রই বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সু-চিকিৎসা করা হবে।

এসময় বিশেষে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট মজিবর রহমান সরোয়ার, বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) এডভোকেট বিলকিস জাহান শিরিন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) আকন কুদ্দুসুর রহমান, যুগ্ম-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মাহবুবুল হক নান্নু, সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ নাজিম উদ্দিন আলম, সাবেক এমপি ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলহাজ্ব মোঃ হাফিজ ইব্রাহীম, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোঃ হায়দার আলী লেলিন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ নুরুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ। এ সময় জেলা ও উপজেলা বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক হারুন-অর-রশিদ ট্রুম্যান, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির সোপান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক, সহ-সভাপতি রাইসুল ইসলাম, ভোলা সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক আসিফ আলতাফ, সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক ইয়ারুল আলম লিটন, তরিকুল ইসলাম কায়েদ, কবির হোসেন, যুবদল সভাপতি জামাল উদ্দিন লিটন, সম্পাদক আব্দুল কাদের সেলিম, স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি জামিল হোসেন ওয়াদুদ, সম্পাদক খন্দকার আল আমিন, শ্রমিক দলের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মানিক, ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম, সম্পাদক আল আমিন হাওলাদার প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সফল করতে ভোলার ১৩টি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হতে থাকে। এক সময়ে তা কানায় কানায় ভরপুর হয়ে যায়। এ সময় বিভিন্ন শ্লোগানে মুখরিত থাকে ভোলার রাজপথ। এছাড়াও সদর উপজেলা ব্যাতিত ভোলার অন্যান্য উপজেলা থেকেও হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।