ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সোনাপুর ইউপির নির্বাচনে প্রায় ২৩ বছর পর মানুষ ভোট দিয়েছে। মামলা জটিলতায় এই ইউনয়নে দীর্ঘদিন নির্বাচন বন্ধ থাকার পর ২৬ ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ভোটারদের সরব উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো। এই ইউপিতে ১৭ হাজার ১০৬ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৬ শতাংশ ভোটার নিজেদের পছন্দের প্রার্থিকে ভোট দিতে কেন্দ্রে আসেন। ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৯জন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করায় নৌকার প্রার্থী মেহেদী হাসান মিশু হাওলাদার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নির্বাচনে সাধারন সদস্য পদে ৪৮ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রতিদ্বন্ধিতা করেন। প্রার্থীদের ভোটের ফলাফলে দেখা গেছে, ১ নং ওয়ার্ডে চরজহির উদ্দিন ডাঃ কান্দি কেন্দ্রে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে মোঃ তছলিম উদ্দিন (ফুটবল) পেয়েছেন ৪৬৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি আব্দুর রহমান (মোরগ) পেয়েছেন ১৩৪ ভোট।
২ নং ওয়ার্ডে তেলিয়ার চর সপ্রাবি কেন্দ্রে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে মোঃ আরিফ তালুকদার (মোরগ) পেয়েছেন ৬৮৮ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুর রহমান (মোরগ) পেয়েছেন ১৩৪ ভোট। ৩ নং ওয়ার্ডে চরজহির উদ্দিন সপ্রাবি কেন্দ্রে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে মোঃ জাকির হেসেন (তালা) পেয়েছেন ৭২৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হুমায়ুন কবির (ফুটবল) পেয়েছেন ৫৫০ ভোট।
৪ নং ওয়ার্ডে মোঃ ভেলা সপ্রাবি কেন্দ্রে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে মোঃ আবদুল মান্নান (তালা) পেয়েছেন ৫২৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম (ফুটবল) পেয়েছেন ৪৩৩ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৩৪২। ৫ নং ওয়ার্ডে পূর্ব বিসারামপুর সপ্রাবি কেন্দ্রে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে মোঃ রফিকুল ইসলাম (মোরগ) পেয়েছেন ৫৭৭ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবুল কালাম আযাদ (ফুটবল) পেয়েছেন ৪২০ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৪৪০।
৬ নং ওয়ার্ডে উত্তর জয়পুর সপ্রাবি কেন্দ্রে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে মোঃ শাহ মোঃ মহিউদ্দিন (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ৬৬১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোঃ সবুজ (মোরগ) পেয়েছেন ৫০৯ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৫১৪।
৭ নং ওয়ার্ডে চাপড়ি আলীম মাদ্রাসা কেন্দ্রে ৯ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে মোঃ সালেম (তালা) পেয়েছেন ৬৭৩ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুল আজিজ ফারুক (ঘুড়ি) পেয়েছেন ৬০৪ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৮৩২।
৮ নং ওয়ার্ডে রাজকৃষ্ণসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে শাহ মোঃ শাহবুদ্দিন (আপেল) পেয়েছেন ৮৬৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সাদ্দাম হোসেন (টিউবওয়েল) পেয়েছেন মাত্র ৫৪ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৭৫৮।
৯ নং ওয়ার্ডে ইন্দ্রনারায়নপুর এম হোসেন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে আমিনুল ইসলাম (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ৬৭৫ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফিরোজ আলম (মোরগ) পেয়েছেন ২৫৯ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৬৯৭।
অপরদিকে সংরক্ষিত ১ নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে জোসনা বেগম (তালগাছ) পেয়েছেন ১ হাজার ৯৯৬ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফেরদৌস বেগম (হেলিকপ্টার) পেয়েছেন ১ হাজার ৫১ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ৬ হাজার ৪৫৮।
সংরক্ষিত ২ নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে নুসরাত বেগম (বই) পেয়েছেন ১ হাজার ৫৭১ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রহিমা বেগম (মাইক) পেয়েছেন ১ হাজার ১৯৩ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ৪ হাজার ২৯৬। সংরক্ষিত ৩ নং ওয়ার্ডে কেন্দ্রে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন। এতে রাসেদা বেগম (মাইক) পেয়েছেন ৮৭২ ভোট, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অহিদা বেগম (তালগাছ) পেয়েছেন ৮৫১ ভোট। মোট ভোটার সংখ্যা ৫ হাজার ২৮৭।