ভোলার রাজাপুরে হরদম চলছে নির্বাচনী আচরণ-বিধি লংঘন ॥ প্রসাশন নির্বিকার

ভোলায় ইউপি নির্বাচনে ‘ফ্রি স্টাইলে’ চলছে আচরণবিধি লঙ্ঘন। কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছেন না প্রার্থীরা। প্রার্থীদের গণসংযোগ থেকে পোস্টারিং কিংবা মাইকিং সব ক্ষেত্রেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে।পোষ্টারিংকে কেন্দ্রকরে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে একাধিক ইউনিয়নে। গভির রাতে বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনাও ঘটছে হরদম। এ ব্যাপারে ভোলা সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন যেন এক রকম নির্বিকার। গণসংযোগের দিন যত পেরিয়ে যাচ্ছে ততই বাড়ছে সহিংসতা, আচরণবিধি লংঘন। তবে এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি। তাদের এমন ভূমিকায় আচরণবিধি লঙ্ঘনে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।


যদিও এসব দেখার জন্য প্রার্থীদের হাতে হাতে দেয়া হয়েছে ইউপি নির্বাচনীয় বিধিবিধান খসড়া কপি। কিন্তু বাস্তবে বিধি বিধান মানতে তাদের তেমন তৎপরতা নেই। তবে প্রার্থীদের দাবি তারা আচরণবিধি মেনেই গণসংযোগ ও পোষ্টার ব্যানার লাগিয়ে প্রচার প্রচারনা চালাচ্ছেন। এভাবে চলতে থাকলে সামনে নির্বাচনী পরিবেশ আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে পরিস্থিতি এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সাধারণ ভোটার। রাজাপুর, পুর্ব ইলিশা ও পশ্চিম ইলিশায় এ পর্যন্ত আচরণ বিধি লংঘনের ঘটনা ঘটেছে একাধিক। তবে এর দায়ে তেমন কোনো কঠোর শাস্তির উদ্যোগ নিয়েছেন কিনা প্রসাশন এমন প্রশ্নই সাধারণ ভোটারদের।
এদিকে ২৫ ডিসেম্বর সরেজমিন রাজাপুরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, নিষিদ্ধ আঠালো পোস্টার, ডিজিটাল ব্যানার ও দেয়ালে দেয়ালে রয়েছে লেমিনেটিং স্টিকার। মহিলা মেম্বার প্রার্থীসহ ডজন খানেক মেম্বার প্রার্থীদের ব্যানার ফেষ্টুন দেখাযায়। তবে অধিকাংশ প্রার্থীরা নিষেধাজ্ঞার আইন জানেন না বললেও রাজাপুরের ৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক তৃতীয় বারের মত সফল মেম্বার প্রার্থী মিলন (টিউবওয়েল মার্কা) সাংবাদিকদের বলেন, ডিজিটাল ব্যানার, ফেস্টুন, স্টিকার লাগানো নিষেধ আমি জানতাম। তবে সকল প্রার্থী লাগিয়েছে বলে আমিও লাগাইছি। ৭ ৮ও ৯ ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার প্রার্থী আখি বেগম (বই মার্কা) মিলন মেম্বারের মত তিনিও বলেন, সবাই লাগাইছে তাই আমিও লাগাইছি এতে দোষের কি ?


তবে বিধিমালায় দেখা যায়, আচরণবিধি মেনে চলতে প্রার্থীদের বাধ্য করতে কর্তৃপক্ষের ব্যাপক ক্ষমতা রয়েছে। তবে কি তা শুধু কাগজে-কলমে পর্যন্ত সিমাবদ্ধ এমন প্রশ্ন এখন সুশীল সমাজের ? এ বিষয়ে এখনো যদি প্রার্থীদের আচরণবিধি মেনে চলতে বাধ্য করা না যায় তাহলে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে। যার ফলে নির্বাচনী পরিবেশ অশান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বেশ।
জানা গেছে, আচরণবিধি লঙ্ঘন প্রমাণিত হলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক কঠোর শাস্তির বিধানও রয়েছে। কোনো প্রার্থী তাহার পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি নির্বাচন-পূর্ব সময়ে বিধিমালার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ৬ মাসের কারা দন্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দন্ডে দন্ডিত এমনকি প্রার্থীতা বাতিল বলেও গণ্যকরতে পারে কর্তৃপক্ষ।
বিধি লঙঘনের বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মিজানুর রহমান বলেন, নির্বাচনী এলাকায় বিধিমালা কোন প্রার্থী লঙ্গন করেছে এমন বিষয় আমরা আগামীকাল থেকে সরেজমিন পর্যবেক্ষন করে দেখবো। বিধি লঙ্গিত হয়েছে এমন বিষয় পরিলক্ষিত হলে সতর্কতা ও অধিকতর হলে প্রচলিত আইনে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।