ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ভোলা সদর উপজেলায় ইটভাটায় ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতে ভোলা সদর উপজেলার ইটভাটাগুলোর ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। অসময়ের এ বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ভোলা সদর উপজেলার অধিকাংশ ইটভাটার কাঁচা ইট ও রাখার জায়গা। ফলে নষ্ট হয়েছে খাড়ি ও মাটিতে পাতানো লক্ষ-লক্ষ প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ভোলা সদর উপজেলায় ১৫ থেকে ২০টি ইট ভাটা রয়েছে। ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে তাদের প্রস্তুতকৃত কয়েক লাখ কাঁচা ইট নষ্ট হয়ে যায়। এতে ইটভাটা মালিকদের প্রায় ৫ থেকে ৬ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নে অবস্থিত মায়ের দোয়া ও সাবাব ব্রিকস্ এর মালিক আমির হোসেন এর। তিনি বলেন, আমি শেষ হয়ে গেছি। আমার দুইটি ব্রিকস্ এর প্রায় ১ কোটি টাকার মত ক্ষতি হয়েছে। আমি লোন নিয়ে ব্যবসা করি, জানি না এ ক্ষতি কিভাবে পোষাবো। সরকার যদি সহায়তার হাত বাড়িড়ে না দেয় তা হলে ইটভাটার ব্যবসা বন্ধ করা ছাড়া উপায় নাই।


পশ্বিম ইলিশায় অবস্থিত রুপালি বিকস্ এর মালিক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম মিয়া জানান, হঠাৎ করে অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় কাঁচা ইট ঢাকা সম্ভব হয়নি। বৃষ্টির কারণে জেলার বেশিরভাগ ইটভাটার অনেকাংশ পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে লক্ষ লক্ষ প্রস্তুতকৃত কাঁচা ইট নষ্ট হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে ইটভাটা মালিকেরা। এদিকে হঠাৎ বৃষ্টিপাতের এ ক্ষয়ক্ষতির কারণে জেলার সরকারি-বেসরকারি উন্নয়নমূলক কর্মকা-ে ইটের সংকট দেখা দেওয়ার ভোলার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
ভোলা জেলা ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি দুলাল মিয়া জানান, ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ভোলা জেলার প্রত্যেকটি ইটভাটা মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কতটুকু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা এখনও নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে ক্ষতিগ্রস্ত মালিকদের তালিকা করা হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।