ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব

টানা বৃষ্টিতে দৌলতখানে ফসলের ক্ষতি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে ভোলার দৌলতখানে টানা বৃষ্টিতে শত শত হেক্টর জমির আমনধান সহ রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টি ও দমকা বাতাসে আমনধানের গাছগুলো মাটিতে নুয়ে পড়েছে। নুয়ে পড়া গাছগুলোর নিচেই বৃষ্টির পানি জমে আছে। বৃষ্টির পানি সরানো না গেলে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে বলে জানান একাধিক চাষিরা।’

উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের আমনধান ও রবি ফসলের ক্ষেতে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির কারণে রবি ফসলের ক্ষেতে পানি জমে আছে। উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের  কৃষক মোঃ নবু  জানান, বৃষ্টিতে অনেক ধান পরে গেছে। অর্ধেক ধান নষ্ট হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে। এমনিতেই আমরা কৃষি কাজ করে লোকসানে আছি। তবে এবার আমনের ছড়া দেখে লোকসানের কথা ভুলে গিয়ে ছিলাম। আবার ঝড় বৃষ্টির কারণে চাষাবাদের খরচের ধারদেনা কাটিয়ে উঠতে পারব না।’

কৃষকের ভাষ্যমতে দৌলতখানে টানা বৃষ্টিতে আমনধানসহ বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, মূলা, বেগুন, কাঁচা মরিচ,লালশাক, ধনেপাতাসহ  সকল ধরনের রবি ফসল ব্যাপক  নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান একাধিক চাষি। এতে কৃষকরা আর্থিক ভাবে লোকসান পড়বে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ সুমন হাওলাদার জানান, ‘চলতি মৌসুমে দৌলতখানে ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্র ছিল । এ মৌসুমে আবাদ হয়েছে ১৬ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে। আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮৫ হাজার মেট্্িরকটন। এ বছর  শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৫০ হেক্টর জমিতে। এবার ২৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। তবে বৃষ্টির কারণে কিছু কিছু এলাকায় ধানসহ রবি ফসলের ক্ষতি হতে পারে। ক্ষতির পরিমাণ এখনও তালিকা করা সম্ভব হয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।