ভোলায় গ্যাসের দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত

ভোলার মাটিতে প্রাপ্ত শাহবাজপুর গ্যাস অবিলম্বে ভোলার ঘরে ঘরে দেওয়ার দাবিতে মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। “ভোলার গ্যাস ভোলার ঘরে ঘরে চাই” এ স্লোগান নিয়ে “ঘরে ঘরে গ্যাস চাই আন্দোলন কমিটি”এ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। সকাল ১১ টার দিকে ভোলা সদর উপজেলার সদর রোডের কে জাহান মার্কেটের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কর্মসূচিতে ভোলার বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নানা পেশার মানুষ অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে “ঘরে ঘরে গ্যাস চাই আন্দোলন কমিটি” এর সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গ্রাহক বিল্লাল সিকদার, শিক্ষক কামরুল হাসান, আনম রিয়াজ উদ্দিন, মানবাধিকার কর্মী মোহাম্মদ হোসেন, রবিউল আলম, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবিদুল আলম, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সেক্রেটারি ও আ.লীগ নেতা আঃ আজিজুল ইসলাম, সাংবাদিক অমিতাভ রায় অপু, সমাজ সেবক এসএম বাহাউদ্দীন, হিন্দু বৈদ্য, খ্রীষ্টাান ঐক্য পরিষদের নেতা অবিনাশ নন্দী, প্রবীন সাংবাদিক আবু তাহের প্রমূখ।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ভোলায় ৪টি গ্যাসকূপ থেকে পর্যাপ্ত গ্যাস মজুদ রয়েছে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে ভোলায় প্রাপ্ত শাহবাজপুর গ্যাস মাটির নীচে অলসভাবে পড়ে থাকলেও ভোলার ঘরে ঘরে সেই গ্যাসের সংযোগ দেওয়া হচ্ছেনা। এমনকি গড়ে ওঠেনি উল্লেখযোগ্য গ্যাসভিত্তিক কোন শিল্প, কলকারখানা। এতে করে অনেকটা থমকে আছে উপকূলীয় এ দ্বীপ জেলার উন্নয়ন। তাই, বাধ্য হয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের কর্মসূচি গ্রহন করা হয়েছে। দাবি না মানা হলে আগামীতে সুন্দরবন গ্যাস বিতরণ কার্যালয় ঘেড়াও ও রাজধানী ঢাকামুখী অভিযান, অবরোধ, হরতালসহ বৃহত্তর আন্দোলনেরও হুশিয়ার করে দেন। তারা আরও বলেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারনে আজ ভোলার গ্যাস ঘরে ঘরে দেওয়া হচ্ছে না। ১৯৮৩ সালে গ্যাস আবিস্কৃত হলেও এখনো ভোলার গ্যাস ভোলার ঘরে ঘরে দেওয়া হচ্ছনা। গত কয়েক বছর আগে কিছু পরিবারকে গ্যাস দিলেও আকস্মিকভাবে তা বন্ধ হয়ে গেছে। দেশের একটি চক্র এটা চায়না। ভোলার গ্যাস নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। তাই ভোলায় শিল্পায়ন হচ্ছেনা।
ভোলার প্রায় ৪ হাজার মানুষের কাছ থেকে আবেদন নিয়েছে সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানী। কিন্তু দীর্ঘদিনেও গ্যাস সংযোগ দিচ্ছে না। ডিমান্ড নোট জমা নিয়ে বসে রয়েছে। তারা নিরব ভূমিকা পালন করছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।