মনপুরায় ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামী আটক, পলাতক-৪

ভোলার মনপুরায় কৌশলে ঘরের দরজা খুলে ৫ যুবক জোরপূর্বক হাত-পা ও মুখ বেঁধে বাড়ির পাশের বাগানে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এক গৃহবধূকে। পরে স্থানীয়রা রক্তাত্ত হাত, পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই গৃহবধুকে উদ্ধার করে মনপুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে মনপুরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নির্যাতিত ও ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে সোমবার উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়। গত রোববার রাত ১২ টায় উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামে ওই গৃহবধূর বসতঘরের পাশের বাগানে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ভোর রাত ৩ টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামীকে আটক করে। তবে এই ঘটনার সাথে জড়িত অপর ৪ আসামীকে ধরতে পারেনি পুলিশ। এর আগে সোমবার রাতে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করে।
আটককৃত প্রধান আসামী হলেন উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা কাইয়ুম হাওলাদারের ছেলে মোঃ শিপন ওরপে আলাউদ্দিন (৩৫)। মামলার অপর পলাতক ৪ আসামী হলেন, মোঃ বেল্লাল মেকার, মোঃ হেলাল, মোঃ ইউসুফ দালাল, মোঃ সেলিম মেকার। এদের সবার বাড়ি উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামে।

মামলার এজাহার ও ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত রোববার রাতে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে নির্যাতিত ওই গৃহবধূ উপজেলার উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নের চরগোয়ালিয়া গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়িতে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত ১১ টার দিকে মহিলা কন্ঠে ওই গৃহবধূর নাম ধরে একাধিকবার ডাক দেয়। পরে ঘরের দরজা খুলার সাথে সাথে মোঃ শিপন ওরপে আলাউদ্দিন, মোঃ বেল্লাল মেকার, মোঃ হেলাল, মোঃ ইউসুফ দালাল, মোঃ সেলিম মেকার ওই গৃহবধুর হাত, পা ও মুখ বেঁধে ফেলে পাশের বাগানে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন সহ ধর্ষণ করে ফেলে যায়। পরে রাত ১ টায় স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার বিকেলে চিকিৎসাধীন থাকা ওই গৃহবধূর অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভোলা জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
তবে ঘটনার দিন ওই গৃহবধূর স্বামী সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ায় বাড়িতে ছিলনা। ঘটনাশুনে সোমবার স্বামী বাড়িতে আসলে ওই গৃহবধূ রাতে বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা করে। পরে মঙ্গলবার ভোর রাত ৩ টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী মোঃ শিপন ওরফে আলাউদ্দিনকে আটক করে। তবে ঘটনার সাথে জড়িত ৪ আসামী পলাতক রয়েছে।
এ ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইদ আহমেদ জানান, গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে থানায় মামলা হয়েছে। প্রধান আসামীকে আটক করা হয়েছে। অপর ৪ আসামীকে ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।