লালমোহনে জমি সংক্রান্ত বিরোধে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন নারী আহত

ভোলার লালমোহনে নিজ বসতঘরের চালায় টিন লাগানোর কাজ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষের হামলায় তিন নারী আহত হওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে।
বুধবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার ফরাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মহেশখালী গ্রামের ইয়াছিনের বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
ভূক্তভোগী মো. ইয়াছিন জানান, গত বছরের ১৫ মার্চ ওই এলাকার মো. শাহাজাহানের কাছ থেকে ৮ শতাংশ বাগান বাড়ী ক্রয় করেন তিনি। পরে সেখানে তিনি পাকা করে ঘর উত্তোলন করতে গিয়ে অর্থাভাবে ছাঁদ দিতে পারেননি। এরই মধ্যে ওই ঘরের ছাঁদ দিতে হলে ৪লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে একই এলাকার নাছির ড্রাইভারের ছেলে মাসুদ।
পরে ঘরটি অর্ধ সমাপ্তবস্থায় দীর্ঘ বছরখানেক বন্ধ থাকার পর পুনরায় আজ (বুধবার) কাজ শুরু করার উদ্যোগ নেন তিনি। তবে অর্থাভাবে ছাঁদ না দিয়ে মোটামুটি বাস উপযোগ্য করতে উপরে টিনের ছাউনি দেয়ার প্রস্তুতি নেন। এতেও বাঁধ সাধেন মাসুদ। পরে মাসুদের নের্তৃত্বে¡ স্থানীয় আরিফ, খলিল, নাইম, আমেনা, মিনারা, জান্নাত, শান্তিসহ ১০/১৫ জন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ইয়াছিনের পরিবারের লোকদের উপর অতর্কিত হামলা ও লুটপাট চালায়। এতে জাহানারা বেগম মালা, রাবেয়া, নাজিয়া, ইমরান, মহসিনসহ আরও ২জন মেস্তুরি আহত হন। পরে ইয়াছিনের একটি মটরসাইকেল ও একটি ভ্যানগাড়ী নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
এদিকে আহতদের মধ্যে জাহানারা বেগম মালা, রাবেয়া বেগম ও নাজিয়া বেগমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদেরকে লালমোহন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এদিকে হামলাকারীরা নিজেদের অপরাধ ঢাকতে উল্টো ইয়াছিন ও তার পরিবারের সদস্যদের জড়িয়ে লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বলেও জানান ভুক্তভোগী ইয়াছিন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চাঁদা দাবি, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করেন মাসুদ।
লালমোহন থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাকসুদুর রহমান মুরাদ জানান, ইয়াছিনের পক্ষ থেকে এমন কোন অভিযোগ থানায় আসেনি। তবে মাসুদ নামে এক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।