ভোলা রাজাপুরে জেলেদের চাল নিয়ে মারামারি

মেম্বার সালামের নেতৃত্বে ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতিকে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ

ভোলার রাজাপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের আ’লীগ সভাপতি আঃ খালেককে প্রকাশ্য দিবালকে কুপিয়ে জখম ও রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠে ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার সালাম এর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে দুপুর আনুমানিক ২ টার দিকে। আহতের ডাক চিৎকার শুনে পরিষদের আশে পাশে থাকা স্থানীয় জনগণ ও পরিষদের লোকজন এসে আ’লীগ নেতা খালেককে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণকরেন। আহত খালেক সহদর হাসপাতালে সার্জারী ওয়ার্ড ২১ চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি আঃ খালেক জানান, ইউপি সদস্য সালাম এর সাথে আমার পূর্বের শত্রুতা ছিল তার জের ধরে তার সাথে আমার বাজা বাজি ছিলো। সকালে পরিষদে চেয়ারম্যান জেলেদের চাল বিতরণ করেছেন। চাল বিতরণ শেষে আমাদের সকল ওয়ার্ড আ’লীগ সভাপতি ও সম্পাদক দের পরিষদের চেয়ারম্যান মিজান খাঁ ডেকেছেন। সারা দেশের ন্যায় ভোলার রাজাপুরের পূজা মন্ডবের যেকোন নাশকতা সৈরাজ্য ঠেকাতে মিটিং ডেকেছেন। মিটিং চলাকালীন সময় পরিষদের নিচে আমি নামলে ৩ নং ওয়ার্ডের বর্তমান সালাম মেম্বার আমাকে ডাকে যে পরিষদে কিসের মিটিং চলে আমি বললাম পূজা মন্ডব পাহাড়া দিতে নৈরাজ্য ও নাশকতা রুখতে কমিটি হবে তাই। সালাম আমার কথা শুনে আমাকে বলে একটু এদিকে আসেন কথা বলুম যাইতে না যাইতে আমাকে পরিষদের পাশে সুপাড়ি বাগানের ভিতরে নিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর কিল, ঘুষি, লাথি, চড় মেড়ে সালাম দা দিয়ে কুপিয়ে আমাকে মাঠিতে ফেলে দেয়। এসময় তার সাথে ছিল ভাই আলমগীর, জহির, ১ নং ওয়ার্ড মেম্বার গিয়াস উদ্দিন চৌকিদার ও রহমান ভুইয়াসহ আরো ১০/২০ জন।
অপরদিকে অভিযুক্ত সালাম মেম্বার এ প্রতিবেদককে জানান, জেলেদের সাথে মারা মারি হইছে আমার সাথে না, তবে আমি সেখানে ছিলাম। ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁ জানান, আমি উপর থেকে তার ডাক চিৎকার শুনে নিচে নেমে দেখি খালেক রক্তাক্ত ও জখম অবস্থা পড়ে আছে। তারা তারি তাকে এ্যাম্বুল্যান্স যোগে হাসপাতালে পাঠাই এবং প্রশাসনকে অবগত করি।
বিষয় জানতে চাইলে খালেক ও স্থানীয়রা জানান, বর্তমান ৩ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সালাম তার ভাইসহ তাকে দা দিয়ে কুপিয়েছে। আহত খালেক এর স্বজনেরা জানিয়েছে আমরা মামলা তায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সরোয়ার বলেন, চাল নিয়ে কোন মারা মারি হয় নাই। তবে সকালে চাল দেওয়ার পর অবশিষ্ট চাল ছিল তাই আমরা ইউএনও স্যারকে জানিয়ে পরিষদে রেখে দিয়েছি। ট্যাক অফিসার আজিজ বলেন, চাল বিতরণের সময় কোন মারা মারি বা অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটেনি। এটা ঘটেছে শুনেছি আমরা আসার পরে। ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষ ব্যবস্থা নিবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।