দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ

পোষাক সমস্যার সম্মুখিন ভোলার অনেক শিক্ষার্থী

(ফাইল ছবি)

সারাদেশের ন্যায় ভোলাতেও ৫৪৪ দিন পর খুলল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষকরা ছিল আনন্দে উৎফুল্ল। জেলার প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসায় তাদের নির্ধারীত সময়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলেছে। শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা নির্দিষ্ট সময়েই উপস্থিত হয়েছে। কোন কোন প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদেরকে ফুল দিয়ে বরণ করেন। আবার স্কুল, কলেজগুলোতে দেখা গেছে একে অপরের সাথে কুশল বিনিময়ের মাধ্যমে আগামীদিনের কর্মসূচী রেখে প্রথম দিন অতিবাহিত করেন। আজ থেকে নির্ধারীতি সময়ের মধ্যেই ক্লাশ শুরু এবং শেষ হবে।
আবার অনেক স্কুলে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের ড্রেস নিয়ে সমস্যায় পড়তে। দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের ড্রেস নিয়ে তেমন কোন মাথা ব্যথা ছিল না। কিন্তু হঠাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণায় বিপাকে পড়েন শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকগণ। কোন কোন শিক্ষার্থী এই দেড় বছরে অনেকটা বড় হয়ে যাওয়া তার ড্রেসটি শরীরের সাথে মিলছে না।
ভোলা শহরের কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী মুহাইমিন রহমান ভোলার বাণীকে জানান, আমার দুই সেট ড্রেস। এক সেটও আমার শরীরের সাথে একজাস্ট হয় না, দু’টোই ছোট হয়ে গেছে। ভোলা সরকারী স্কুলের এক শিক্ষার্থী বলেন, এতদিন অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিলাম সরকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি খুলবে না। হঠাৎ প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াতে আমার মত শিক্ষার্থীদের আগের ড্রেসগুলো ছোট হয়ে গেছে।
ভোলা সদর গার্লস স্কুলের এক শিক্ষার্থীর মা বলেন, আমার মেয়ে বড় হয়ে যাওয়াতে তার জামা-পায়জামা পড়তে পারছে না। হঠাৎ সমস্যায় পড়ে গেছি। তবে নতুন স্কুল ড্রেস তৈরী করে ফেলব।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকাতে বাচ্চারা বড় হয়ে গেছে। যার কারণে তাদের পুরনো স্কুল ড্রেস শরীরে খাটছে না। তবে আমাদের আশা অতিদ্রুতই শিক্ষার্থীরা তাদের নতুন ড্রেস তৈরী করে ফেলবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page