চোরের উপদ্রপ থেকে বাঁচতে ভোলার পূর্ব ইলিশায় এলাকাবাসীর মানববন্ধন

ভোলায় অনাকাঙ্খিতভাবে বেড়েই চলছে ঘর বাড়িতে চুরির ঘটনা। রাতের বেলায় বাড়িতে চুরি করে ঘর মালিকদের নিঃস্ব করে দিয়ে পথে বসিয়ে দিয়েছে চোর চক্র। এই চোর চক্রদের থেকে বাঁচতে মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আছর নামাজ শেষে ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডস্থ স্লুইচ গেইট বাজারে হাজারো এলাকাবাসির অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
চোর চক্রদের থেকে বাঁচতে বক্তরা জানান, গত ১ মাসে একশত ঘর বাড়ি চুরি হয়েছে। আমরা চোর চক্র থেকে বাঁচতে ভোলা সদর থানায় এবং ইলিশা পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিলেও কোন সুফল পাইনি। দুই একজন গ্রেপ্তার হলেও তারা জেলে গিয়ে কয়েকদিন জেল খেটে হাজতে থেকে বের হয়ে পূনরায় আবার চুরির কাজে জরিয়ে পড়েন। এতে এলাকাবাসি আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে যায়। কারণ কখন আবার এই চোর চক্রদের হাতে আমরা বলি হই তার কোন হদিস নাই।
এলাকাবাসি আরো জানান, চোর চক্রদের গ্রেপ্তার করতে না পারলে আমরা আমাদের ছেলে সন্তানদের নিয়ে ঠিকমত ভালো রাতে ঘুমাতে পারবো না এবং জীবন যে সম্ভল করেছি তা চুরি হয়ে যাওয়ার পর আমরা নিঃস্ব হয়ে পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। তাই প্রশাসনের কাছে আমাদের এলাকবাসির দাবি অতি দ্রুত এই চিহ্নিত চোর চক্রদের ধরে তাদের এমন শাস্তি হেওয়া হোক যাতে করে আর কোন চোর চুরি করতে সাহস না পায়।
এ সময় মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার প্রার্থী সলিমুল্লাহ, ডাক্তার পারভেজ, জাহের, আলাম, ফারুক কারি, ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দরা।
এ ব্যাপারে ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এনায়েত হোসেন এর সাথে মুঠো ফোনে জানা, চোর চক্রদের ধরতে আমাদের পুলিশের টিম কাজ করছে, অচিরেই বাকী চোর চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ০১/০৯/২১ ইং তারিখে রাত আনুমানিক ২.৩০ মিনিটের সময় কুলসুমের বসত ঘরে চুরি করে স্বর্ণালংকারসহ আনুমানিক ২ লাখ ৫২ হাজার টাকার মত মালামাল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় চোর চক্রের একজনকে হাতে নাতে স্থানীয় জনতা আটক করে। পরে ৯৯৯ ফোন দিলে ঘটনাস্থল থেকে ভোলা সদর থানার এসআই কবির চোরদেরকে আটক করে নিয়ে আসে। চিহ্নিত চোর তাহের এর সাথে অবশিষ্ট চোর চক্র রাসেল, জুয়েল ও বাকি চোরদের নামে এরশাদের স্ত্রী কুলসুম বেগম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।