লালমোহনে এক মাদ্রাসায় জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমপিও স্থগিত

মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের ডিজির প্রতিনিধির স্বাক্ষর জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিক নিয়োগ দিয়ে এমপিওভূক্তির আবেদন করায় ভোলার লালমোহনের ‘কুন্ডের হাওলা রশিদিয়া দাখিল মাদ্রাসা’র এমপিও স্থগিত করেছেন মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। গত ২৬ জুলাই মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ স্থাগিতাদেশ দেয়া হয়। মাদ্রাসাটির সুপারের এক আত্মীয়কে অর্থের বিনিময়ে সহকারী গ্রন্থাগারিক হিসেবে নিয়োগ দিতে এমন জাল-জালিয়াতির আশ্রয় নেন সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। যার ফলে বন্ধ রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা। তবে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে এমপিওভূক্তির আবেদনের বিষয়টি অস্বীকার করে মাদ্রাসার সুপার মাওলানা মো. বশির উল্যাহ বলেন, একটি কু-চক্রিমহল তার ও সভাপতির স্বাক্ষর নকল করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারী গ্রন্থাগারিকের এমপিওর আবেদন করে।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মাদ্রাসার কয়েকজন শিক্ষক বলেন, আমরা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে কোনভাবেই জড়িত নয়। কখন, কোথায় কাকে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তা আমরা কখনও জানতে পারিনাই। সভাপতি, সুপার ও নিয়োগ কমিটি মিলে নিয়োগ প্রক্রিয়া করে থাকেন। তাদের অনিয়মের কারণে আজ আমরা বেতন পাচ্ছি না। আমাদের অপরাধ কি ? কেন আমরা বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত ? মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব গত কুরবানীর ঈদে আমরা বেতন ভাতা থেকে বঞ্চিত হয়েছি। কুরবানীর ঈদের সময় পরিবার পরিজন নিয়ে অনেক কস্টে কাটিয়েছি। যাদের অনিয়মের কারণে পুরো মাদ্রাসার বেতন বন্ধ হয়েছে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।


এছাড়াও সুপার মো. বশির উল্যাহর বিরুদ্ধে মাদ্রাসার টিউশনির টাকা আত্মসাত সহ নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের লক্ষ লক্ষ টাকা আদায়ের অভিযোগ রায়েছে। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম মিন্টুর নাম্বরে বারবার রিং দিলে তা তিনি তা রিসিভ করেননি, এজন্য তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।