ভোলায় হঠাৎ করে বাড়ছে গরু চুরি, খামারিদের মাঝে আতংক

ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন রাতের আধারে হঠাৎ করেই বাড়ছে গরু চুরি। খামারিদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। গত ১৮/০৫/২১ ইং তারিখে দৌলতখান চর খলিফা ইউনিয়ন দিদারউল্লাহ ৫ নং ওয়ার্ডের গোয়াল ঘরের মধ্যে থেকে আনুমানিক রাত ১.৩০ মিনিটের সময় গরু চুরি হওয়ার অভিযোগ উঠে ভোলা থানার শিবপুর ইউনিয়নের মোঃ রতনের ছেলে হোসেন এর বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সুত্রে ইউসুফ জানান, গত ১৮/০৫/২১ ইং তারিখে ভোলা থানায় একটি অভিয়োগ দাযের করি।
অভিযোগের ভিত্তিত্বে এসআই ইমাম ঘটনাস্থলে যাইতে চাইলে ঘটনার স্বাক্ষী আব্দুল মান্নান জানান, তারা চুরি হওযা গরুর টাকা ফিরত দিবে আমাকে জানিয়েছেন। গরুর মালিক ইউসুফ প্রতিবেদককে জানান, আমার ঘোয়াল ঘর থেকে রাতে গরুটি চুরি করে শিবপুর ৭ নং ওয়ার্ডে এনে রতনের ছেলে হোসেন, মনির কইর এর ছেলে মমিন জবাই করে ভাগ ভাটোয়ারা করে খেয়ে ফেলে।
স্থানীয় আঃ হাই ছেলে আঃ মান্নান, রাইসুলের ছেলে জসিম, রাইসুল হক দেখে ফেললে তাদেরকে চুপ থাকতে বলেন। গরু চুরির জবাইর সকল ডগুমেন্টের তথ্য ভোলা থানার এসআই ইমাম কে তারা দিয়েছে। তিনি আরো জানান, আমরা বিচার চেয়ে ভোলা থানা সহ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান এর কাছে ঘুরতেছি আমাদের গরুটি ফিরে পেতে আজও পাবো কিনা জানি না।
এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিবপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে রাঢ়ি বাড়ির বাগান থেকে একটি চোরাই গরু উদ্ধার করেন ভোলা সদর থানার এসআই ওসিম। তিনি জানান, গরুটি রাঢ়ি বাড়ির বাগান থেকে উদ্ধার করি। গরুটি কার তা আমরা জানি না, তবে গরুটি আমাদের হেফাজতে আছে। প্রকৃত মালিক পরিচয় দিলে তার হাতে আমরা গরুটি উটিয়ে দিবো আপনিরা আমাদেরকে একটি সহযোগিতা করুন।
ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, চুরি হওয়া গরু রাঢ়ি বাড়ির বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তবে গরুটি নাকি ধনিয়া ইউনিয়নের এক লোকের। আমি ধনিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি তারা সঠিক পরিচয় দিয়ে মেম্বার সহ চৌকিদার এর উপস্থিতি তাদেরকে দিয়ে দিবো। গরু চুরি হওয়া সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের প্রশাসন কাজ করছে অচিরেই চোরসহ চুরি হওয়া গরু উদ্বার করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page