গলাচিপায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘর তোলার অভিযোগ 

পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলায় রতনদী মৌজায় আদালতের অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গকরে প্রতিপক্ষরা বিরোধীয় জমিতে ঘর তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সূত্রমতে উপজেলার সদর ইউনিয়নে রতনদী মৌজায় সি এস ২৮১ খতিয়ানের ৬৮ শতাংশ জমির ৩ মে ১৯৫১ ইংরাজি তারিখে ২৭৩৪ নম্বর দলিলে ক্রয়কৃত মালিক মৃত হোচেন আলী মুন্সি।একই মৌজার দাতা আব্দুল কাদের চৌকিদার এর বিক্রিত জমি বর্গাচাষীদের দ্বারা চাষাবাদ ও পরিচর্যায় দীর্ঘদিন ছিল। কিন্ত কয়েক বছর যাবৎ ঐ খতিয়ানের অন্যান্য ওয়ারিশগণের জমির সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়। যাহার ফলে ওয়ারিশগনের মধ্যে জটিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে মৃত হোসেন আলী মুন্সির ছেলে দেলোয়ার হোসেন বিরোধীয় সম্পত্তীতে ১২ এপ্রিল ২০২১ তারিখে গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে অন্তবর্তীকালীন অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা প্রপ্তির মামলা করেন।

এই মামলার হওয়ার খবর পেয়ে প্রতিপক্ষরা তফসিল বর্নিত ভূমির দখল নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ঐ ভূমিতে ইট,বালু,কাঠ,টিন ও পিলার সহ ঘর দরজা নির্মাণ সামগ্রী সংগ্রহ করে। গাছপালা ও মাটি কেটে বিরোদীয় সম্পত্তির আকার পরিবর্তন করে কঠের তৈরি বসত ঘর নির্মাণের চেষ্টা অব্যহত রাখে। আস্তে আস্তে বিরোধের আকার তিব্র হতে থাকে। একই এলাকার আঃরশিদ চৌকিদার,আঃ রাজ্জাক চৌকিদার, আজিজ চৌকিদার এবং মোঃ শাহজাহান চৌকিদার সহ অন্যান্য ওয়ারিশ গন জবরদখলের প্রচেষ্টায় লিপ্ত। উদ্ভুদ্ধ পরিস্থিতিতে পারিবারিক ও সামাজিক পরিবেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখায় প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণের জন্য পটুয়াখালী পুলিশ সুপার এর কাছে আবেদন করা হয়।

এ বিষয়ে মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘ আমার পিতা মৃত হোচন আলী মুন্সি ১৯৫১ সালে আব্দুল কাদের চৌকিদার এর ৬৮ শতাংশ জমি ক্রয় করে। বিগত দিনে আমাদের ভোগ দখলে ছিল এবং বর্তমানেও আছে।কিন্তু কয়েক বছর যাবৎ কতিপয় কুচক্রী মহল বিভিন্ন কৌশলে ক্রয়কৃত জমিতে জোর পূর্বক দখল নিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছে।এই কারনে গলাচিপা সহকারী জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে দেওয়ানি মামলা ৬৮/২০২১ দাখিল করি’।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page