লালমোহনে ইয়াবার বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী
ভোলার লালমোহন উপজেলায় ইয়াবার বড় সিন্ডিকেট রমরমা মাদক ব্যবসা চালাচ্ছে। উপজেলা নিয়ন্ত্রণ করছে চিহ্নিত কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী। এরা লালমোহন পৌর এলাকাসহ বিভিন্ন স্পটে মাদক সরবরাহ করছে। মাদক ব্যবসায়ীরা দফায় দফায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেও আদালত থেকে জামিন নিয়ে এসে ঢাকা থেকে আবারো চালাচ্ছে ইয়াবার ব্যবসা।
লালমোহন কালমা ইউনিয়নের চর ছকিনা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে জামাল বেপারী, আবিদুর রহমান আকিব ও কচুয়াখালী এলাকার ছালাউদ্দিন, ওয়েস্টার্ণপাড়ার কুজা সুমনসহ বেশ কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুরো লালমোহনে মাদক নিয়ন্ত্রণ করছে। অথচ লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসনের এমপি আলহাজ¦ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন নিজ নির্বাচনী এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে শোচ্চার। তিনি পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।
লালমোহন থানা সূত্রে জানা গেছে, জামাল বেপারীর বিরুদ্ধে ইয়াবা, অপহরণ, জাল নোটসহ ৮টি মামলা রয়েছে। তার স্ত্রীর নাম সালমা। দুইজনের যোগসাজসে দীর্ঘদিন তারা এসব অপরাধ করে চলছে। ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ১৮৭ পিচ ইয়াবাসহ ডাওরী বাজারের দক্ষিণ পাশ থেকে গ্রেফতার হয় জামাল বেপারী। ২০১৭ সালের ১৮ মে ৫৫ পিচ ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয় সে। লালমোহন উত্তর বাজার থেকে ২০২০ সালের ১৮ মে ইয়াবাসহ গ্রেফতার হয় আবিদুর রহমান আকিব। কচুয়াখালী গ্রামের ছালাউদ্দিন সহ এই ইয়াবা সিন্ডিকেট পুরো লালমোহনে ইয়াবা সরবরাহ করছে। ওয়েস্টার্ণপাড়া কুজা সুমনও দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় তার একাধিক সহযোগিসহ মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এরা পুলিশের হাতে দফায় দফায় গ্রেফতার হলেও আদালত থেকে আবারো জামিনে ফিরে এসে পূর্বের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকা থেকে আত্মগোপনে থাকলেও তাদের মাদক ব্যবসা চলছে রমরমা। ঢাকায় অবস্থান করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করছে তারা মাদক ব্যবসা। পৌর এলাকার মধ্যে লালমোহন ওয়েস্টার্ণপাড়া, নয়ানীগ্রাম, ৩নং ওয়ার্ড, ৯নং ওয়ার্ড মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে।
এ বিষয়ে লালমোহন ও তজুমদ্দিন আসনের এমপি আলহাজ¦ নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। মাদক এলাকার যুব সমাজকে নষ্ট করছে। তাদের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।