লালমোহনে আদালতের মামলা উপেক্ষা করে শালিস করছে পুলিশ

ভোলার লালমোহনে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আদালতে করা মামলাকে উপেক্ষা করে থানায় শালিস করার অভিযোগ উঠেছে লালমোহন থানার এএসআই মোশারফ এর বিরুদ্ধে। আদালতে চলমান দেওয়ানী মামলার বাদি মোঃ সোহাগ জানান, উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড গজারিয়া গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মাতাব্বরের ছেলে খোরশেদ আলম ও আবদুল গণি। পিতার মৃত্যুর পর নিজের ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্ত সম্পূর্ণ সম্পদ বিক্রি করে ফেলেন খোরশেদ, পাশাপাশি তার মাও স্বামীর কাছ থেকে প্রাপ্ত অংশের চেয়েও অতিরিক্ত বিক্রি করে দেন। তবে ওয়ারিশ হিসেবে প্রাপ্ত সম্পদে বহাল থাকেন খোরশেদের ভাই আবদুল গণিসহ অন্য ওয়ারিশগণ। আবদুল গণির মৃত্যুর পর বর্তমানে তার ছেলে-মেয়েরা ভোগদখলে রয়েছেন।
এদিকে পিতৃ ওয়ারিশের সম্পত্তি বিক্রি করে নিঃস্বত্ববান হয়ে এবার ভাই-বোন ও ভাতিজাদের দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার পায়তারা চালায় মোঃ খোরশেদ আলম। তাই পিতার কাছ থেকে পাওয়া মায়ের অংশের একটি হেবা দলিল বের করে জমি দখল করতে চায় খোরশেদ। খোরশেদ আলমের এমন অন্যায় থেকে বাঁচতে সকল ওয়ারিশদের পক্ষে মৃত আবদুল গণির ছেলে সোহাগ বাদি হয়ে চলতি বছরের ২৪ জুন সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
সোহাগ আরও জানান, মামলার ৪দিন পর গত ২৮ জুন বিরোধীয় ভূমির একটি পুকুর দখল করতে আসেন খোরশেদ আলম। তখন তাকে বাঁধা দিলে আমাদের বিরুদ্ধে লালমোহন থানায় একটি অভিযোগ করেন খোরশেদ আলম। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে থানায় ডেকে এএসআই মোশারফ তার কাছ থেকে দুইদিন দুটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেন। এসময় তিনি আদালতের মামলার কথা বললে ক্ষেপে এএসআই মোশারফ ক্ষেপে যায় বলেও জানান ভুক্তভোগী সোহাগ।
এ বিষয়ে আলাপকালে মোঃ খোরশেদ আলম জানান, থানায় অভিযোগের সূত্র ধরে গত ৮ আগস্ট লালমোহন থানার ওসি সাহেব আমার কাগজপত্র দেখে আমার পক্ষে একটি রায় দিয়েছেন এবং সোহাগদের কে ওই জমিতে যেতে বারণ করেন। এসময় তারা আদালতের মামলার কথা বললে ওসি সাহেব তাদের কে বলেছেন, যেদিন আদালত তোমার পক্ষে রায় দিবে, সেদিন তুমি জমিতে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালমোহন থানার এএসআই মোশারফ বলেন, আমাকে ওসি সাহেব পাঠিয়েছেন তাদের কে ডেকে আনতে। আমি ডেকে এনেছি। এসময় তারা আদালতের মামলার কথা বললেও কোনও কাগজ ওসি সাহেবকে দেখাতে পারেননি। তখন ওসি সাহেব বলেছেন, আদালতের মামলার রায় নিয়ে এসে জমি ভোগ করবে। এদিকে আদালতের মামলাকে উপেক্ষা করে থানা পুলিশের শালিসি দেখে হতবাক প্রকাশ করেছে স্থানীয় সচেতনমহল।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।