ব্যবসায়ী দোকান খুলে দেওয়ায় খুশি ভোলার ব্যবসায়ীরা

মহামারী করোনা সংক্রমণপর কারণে দীর্ঘদিন লকডাউনে বিধিনিষেধ ও ঈদের পর বুধবার থেকে সব দোকানপাট খুলে দেওয়ায় প্রানচাঞ্চল্য ফিরতে শুরু করেছে ভোলার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। ব্যবসায়ীরা পুরোদমে তাদের ব্যবসায়ী দোকান খুলে ব্যবসা করছেন। ফলে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ফের গতি ফিরে এসেছে এ দ্বীপ জেলার ব্যবসায়ী দোকানে। তারা বিগত দিনের ক্ষতি পোষানোর চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে ভোলা শহরের যুগিরঘোল এলাকার ছিদ্দিক স্টোরের সত্বাধিকারী মোঃ সুজন মাহমুদ জানান, দীর্ঘদিন পর লকডাউন তুলে দেওয়ায় আমরা খুশি।, ফাস্টফুড, চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তরা, ফটোকপি, কম্পিউটার দোকানীসহ সব ব্যবসায়ীরাই আজ কমবেশী ব্যবসা করেছেন। তিনি বলেন, ব্যবসায়ী দোকান খুলে দেওয়ার পর আমি প্রথম দিন বুধবার সকাল ৯ টায় দোকান খুলি। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৮০০ টাকার পণ্য বিক্রি করেছি। লকডাউনে টানা ১৮ দিন ধরে আমার দোকান বন্ধ থাকায় প্রায় ৯ হাজার টাকার মতো ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি। তাই, লকডাউনে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে আমাদের ব্যবসায় মারাত্মক ক্ষতি হয়। অর্থনৈতিক চাকা থমকে যায়। তাই, করোনাকালীন এ সংকটকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সব ধরনের ব্যবাসয়ী দোকান খোলা রাখার দাবি জানান এ ব্যবসায়ী।

একই এলাকার লিপি কনফেকশনারির সত্বাধিকারী মোঃ আলম বলেন, আমি দীর্ঘদিন পর বুধবার সকাল ৯ টায় দোকান খুলে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত প্রায় দুই হাজার টাকার পণ্য বিক্রি করেছি। তিনি বলেন, করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলা থাকলে বিগত দিনে ব্যবসায় যে ক্ষতি হয়েছে তা কিছুটা পুষিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে।

এ ব্যাপারে যুগিরঘোল ব্যবসায়ী সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মোঃ জাহিদুল হক শুভ বুধবার দুপুরে বলেন, শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-ই নয়। মহামারী এ করোনার সংকটময় মুহূর্তে সবাইকে সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের কার্যক্রম চালালে একদিকে যেমন করোনা সংক্রমণের হার কমবে। অন্যদিকে, সবকিছুই স্বাভাবিকভাবেই চলবে।

ভোলার সিভিল সার্জন ডাক্তার কে এম শফিকুজ্জামান বলেন, ভোলায় করোনা সংক্রমণ রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, এ জেলার অনেক মানুষ মাস্ক পরেনা। এ ছাড়া করোনা সংক্রমণ রোগীরা লক্ষ্মণ গোপন করে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ফলে স্বাস্থ্যকর্মীরাও আক্রান্ত হচ্ছেন। মৃত্যুও হচ্ছে। যারা করোনায় আক্রান্ত তারা কোয়ারান্টাইনে না থেকে তার আগেই বের হয়ে যাচ্ছে। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। সচেতন হতে হবে।সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। প্রচারনা বাড়াতে হবে। ইউনিয়ন কমিটির নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। সর্বোপরি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, মসজিদের ইমাম, শিক্ষকসহ গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

 

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।