সর্বশেষঃ

টিকা না নিয়েই ফিরে গেছেন অনেকেই

গণটিকার তৃতীয় দিন ॥ ২টার আগেই বন্ধ হয়ে যায় ভোলা সদর হাসপাতাল কেন্দ্র

করোনার গণটিকা প্রদানের তৃতীয় দিন (৯ আগষ্ট) সোমবারও ভোলা সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে এসে অনেকেই টিকা না দিতে পেরে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এর আগের দিন দ্বিতীয় দিনে রোববার ভোলা সদর হাসপাতালে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ওই দিন শত শত মানুষ টিকা দিতে না পেরে ক্ষোভ নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ওই কেন্দ্রে করোনার টিকা দিতে গিয়ে হয়রানি ও লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়েছে একজন স্বেচ্ছাসেবীকে। এ সময় টিকা গ্রহনকারীদের সাথে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে টিকা নিতে আসা মানুষ ও রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির কর্মীরা। হাসপাতালের স্টাফ ও প্রাইভেট ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের দালালদের বিরুদ্ধেও বিভিন্ন অভিযোগ উঠে।
সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় দিনের মতো সোমবার সকাল থেকেই ভোলা সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রে হাজার হাজার মানুষ এসে জড়ো হতে থাকে টিকা নিতে। ওই কেন্দ্রে দুই সহস্রাধিক মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্বে থাকা রেডক্রিসন্ট সোসাইটির ভোলা জেলার যুব প্রধান আদিল হোসেন তপু। তিনি বলেন, বেলা ২ টার দিকে টিকা দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ভোলার সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান রোববার বলেছিলেন, সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে ৮ টা বুথের স্থলে মাত্র ২টা বুথ দিয়ে টিকা কার্যক্রম চালানোর কারণে ওই দিন বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়েছে। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে হাসপাতালের দরজার গ্লাস ভেঙে গেছে। সোমবার থেকে ৭টি বুথে সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হলে আর কোন সমস্যা হবে না। তবে, দুপুরে খাবারের কোন ব্যবস্থা না থাকায় ২ টার আগেই টিকা কার্যক্রম বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড-ক্রিসেন্ট সোসাইটির এক সদস্য।
ভোলা সদর হাসপাতাল কেন্দ্রে আসা পৌরসভার চরজংলা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা দলিল লেখক মোঃ মোহসীন বলেন, সোমবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত টিকা দেওয়া হবে জেনে আমার স্ত্রী ফরিদা মোহসীনকে গণটিকা দেওয়ার জন্য পৌনে ৩টার দিকে এই টিকা কেন্দ্রে এসেছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রে এসে শুনি দুপুর ২ টার আগেই টিকা দেওয়া বন্ধ হয়ে গেছে।
সদর উপজেলার উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষক পরেশ চন্দ্র কোদালী তার স্ত্রী সুরব বালা ছেলে বিপ্লব চন্দ্র কোদালী দুপুর ২টার দিকে ভোলা সদর হাসপাতালের টিকা কেন্দ্রে এসে দেখেন টিকা কার্যক্রম বন্ধ। ফলে তারা টিকা না দিয়েই বাড়ি ফিরে চলে যান। তাদের মতো প্রায় অর্ধশত মানুষ ওই কেন্দ্রে দুপুর ২টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত এসে টিকা না দিতে পেরে বাড়ি ফিরে যান।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ভোলার সিভিল সার্জন ডা. কে এম শফিকুজ্জামান সোমবার বিকেলে এ প্রতিবেদককে বলেন, বেলা ৩ টা পর্যন্তই দেওয়ার কথা।
ভোলা সদর হাসপাতালের তত্বাবধায়ক বলেন, হাসপাতাল কেন্দ্রে মানুষের ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। তাই, মঙ্গলবার থেকে ভোলা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হবে। আমরা দুপুরের দিকে ভোলা সরকারি কলেজ টিকা কেন্দ্রটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। হয়ত তখন অনেকে ওই কেন্দ্রে এসে ফেরত যেতে পারে।

 

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page