লকডাউনে ভোলায় বেড়েছে মোবাইলে জুয়া খেলা

(ফাইল ছবি)

ভোলা শহর, শহরতলি ও গ্রামাঞ্চলে কঠোর লকডাউনের মধ্যে অলস সময় কাটানো কিশোর, তরুণরা স্মার্ট ফোনে লুডু গেমের মাধ্যমে ব্যাপক হারে জুয়া খেলছে। স্কুল-কলেজ ও কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ থাকায় ছাত্ররা মোবাইল ফোনে লুডু অ্যাপের এ জুয়া খেলায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। এই লুডু গেমের পাশাপাশি মোবাইলে ফ্রি ফায়ার গেম কেন্দ্রিক জুয়া খেলার প্রবণতাও বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখো গেছে, গ্রাম-গঞ্জের বিভিন্ন দোকান, লোক সমাগম কম এমন স্থানে, বাস টার্মিনাল, গ্রামাঞ্চলের বড় বড় বাগানে আড়ালে নিরিবিলি জায়গায় ৩ থেকে ৪ জন একসঙ্গে বসে মোবাইল ফোনে এই জুয়া খেলছে। এমনকি বিভিন্ন বাসা-বাড়িতেও স্কুলপড়ুয়া কিশোর-তরুণরা এই জুয়া খেলায় জড়িয়ে পড়ছে।
এতে প্রতিটি গেমে খেলোয়াড়রা কমপক্ষে ৫০ থেকে ৫০০ টাকা বাজি ধরছে। সারাদিনের বিভিন্ন সময়ে এ খেলা চলতেই থাকে। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পরিবারগুলো। জুয়ার টাকা জোগাড় করতে বিপথগামী হয়ে পড়ছে তরুণ এবং কিশোররা। মোবাইলের এই জুয়াকে কেন্দ্র করেই ভোলা সদর উপজেলার আলীনগর, চরসামাইয়া, ভেলুমিয়া, ভেদুরিয়া, উত্তর দিঘলদী, দক্ষিণ দিঘলদী, রাজাপুর, পূর্ব ইলিশা, পশ্চিম ইলিশা, রাজাপুর, বাপ্তা, ধনিয়া, কাচিয়া এবং ভোলার অন্যান্য উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রত্যান্ত গ্রামাঞ্চলে এ জুয়া খেলা লক্ষ্য করা এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এই জুয়ার জুয়ার টাকা জোগাড় করতে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে তারা। তবে জুয়া খেলা বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো প্রশাসনিক তৎপরতা নেই।
কলেজ শিক্ষক মোঃ সেলিম, আল-আমিন, আতাউর রহমান, নোমান বলেন, যে এ্যাপস এর মাধ্যমে এই জুয়া খেলা খেলছে তা বাংলাদেশে বন্ধ করা উচিত। কেননা এ খেলা নিয়েই মারা-মারিসহ বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হয়। অনতিবিলম্বে এটা বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার।
ভোলা সদর উপজেলার বেশ কয়েকজন তরুনের অভিভাবক রুহুল আমিন, আলমগীর, ইউসুফ বলেন, এই জুয়া খেলায় উঠতি বয়সের তরুণরা বেশি ঝুঁকছে। তরুণরা ছাড়াও বিভিন্ন বয়সের লোকজন এ খেলার সাথে জড়িত। অতি দ্রুত এ খেলা বন্ধ করার জন্য তারা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এনায়েত হোসেন বলেন, জুয়া খেলা বন্ধের ব্যাপারে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সম্প্রতি সদর উপজেলার ইলিশা থেকে কয়েকজন জুয়ারিকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এ খেলা বন্ধে আমাদের সকলকে সহযোগিতা করতে হবে। সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে হবে। ওই তথ্যের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাদের ব্যাপারেও অভিযান পরিচালনা সহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।