কামরুলের বিরুদ্ধে একাধিক সুদ ও নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা করার অভিযোগ

দৌলতখানে এনজিওকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

  • ভোলার দৌলতখানে বসতঘর থেকে ইয়াসমিন নামে এক এনজিওকর্মীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ফরহাদ মোল্লার ভাড়া দেয়া বাড়ি থেকে শনিবার দুপুরে পুলিশ ওই তরুণীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। পাঁচ মাস আগে স্বামী কর্তৃক তালাকপ্রাপ্তা ওই তরুণী লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের নবীনগর গ্রামের খোরশেদ আলমের মেয়ে বলে জানা গেছে। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য সুরতহাল লিপিবদ্ধ করে লাশ ভোলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
    স্থানীয়রা জানান, নিহত ইয়াসমিন উত্তর জয়নগর ২ নং ওয়ার্ডের আবুল কাসেমের ছেলে ডিসের (ক্যাবল অপারেটর) ব্যবসায়ী ও এনজিও মালিক কামরুল হাসান সাগরের সুন্দরবন মাল্টিপার্পাস নামক এনজিওতে চাকরী করতেন। দীর্ঘদিন যাবত সাগরের সাথে তরুণীর পরকীয়া চলে আসছিলো। শুক্রবার (৬ জুলাই) রাতে তরুণীর বাসায় স্থানীয়রা সাগরকে তরুণীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে। তারা কাজি ডেকে উভয়ের বিয়ে দেয়ারও প্রস্তুতি নেয়।
    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, আটককারীরাই অজ্ঞাত কারণে কামরুল হাসান সাগরকে ছেড়ে দেয়। এতে বিয়ে না হওয়ার লজ্জায় তরুণী ইয়াসমিন শনিবার সকালে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে খোঁজ করে কামরুল হাসান সাগরকে এলাকায় পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইলফোন- ০১৭২১০৮০৩৫২ নাম্বারে একাধিকবার কল দিয়ে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
    আরো জানা গেছে, কামরুল হাসান ভোলা সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে একাধিক সুদের ব্যবসা এবং নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা করার একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
    এ ব্যাপারে দৌলতখান থানার ওসি বজলার রহমান বলেন, উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড থেকে ইয়াসমিন নামে তরুণীর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণে ময়না তদন্তের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।