ভোলা ইলিশার যুব সমাজ ধ্বংসের কারিগর কামরুলের খুটির জোর কোথায়? 

অভিযুক্ত কামরুল।। ছবি ভোলার বাণী

দ্বীপ জেলা ভোলার অভিভাবক ৬৯এর মহা নায়ক ভোলা সদর আসনের এমপি তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশনায় ভোলার পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার এর নেতৃত্বে ভোলাকে অপরাধমুক্ত করে একটি শান্তির দ্বীপ  গড়ে তুলতে দিনরাত অভিরাম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ভোলার পুলিশ।

পুলিশের কঠোর অভিযানের পরেও সদর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নে যুবকদের ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে মাদক ও জুয়ার স্বর্গরাজ্য করেছে ওই ইউনিয়নের প্রভাবশালী এক আওয়ামীলীগ নেতার আত্মীয় ৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহাবুউদ্দিন মেম্বারের ছেলে কামরুলগং।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, দেশের ২১টি জেলার সাথে যাতায়াতের মাধ্যম ইলিশা ফেরি ও লঞ্চঘাট, ওই ঘাটের ইজারাদার ইলিশার ডন হিসেবে পরিচিতো কামরুল বাহিনীর প্রধান কামরুলের নিকটবর্তী এক আত্মীয়ের হওয়া সুবাধে প্রতিনিয়ত পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা থাকার পরেও মাদক ভোলায় প্রবেশ করিয়ে কামরুলের গড়ে তোলা পূর্ব ইলিশা, রাজাপুর, পশ্চিম ইলিশাসহ বিভিন্ন জায়গায় মাদক সেল করেন, পাশাপাশি ইলিশার বিভিন্ন পয়েন্টে জুয়ার আসর বসিয়ে সেল্টার দিচ্ছেন এই কামরুল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চোরাই মোটরসাইকেল, মাদকসহ অবৈধ বিভিন্ন মালামাল কামরুলের নিকটবর্তী আত্মীয়ের ইজারা নেওয়া ঘাট দিয়ে ভোলায় প্রবেশ করার অপরাধে ইলিশা ফাঁড়ির সাবেক এক ইনচার্জ ও এ এসআইসহ পুলিশের একটি টিম কামরুল কে আটক করার জন্য একাদিকবার অভিযান করেছে।
কামরুলের অপকর্মের শত শত সাক্ষী থাকলেও এলাকার প্রভাবশালী বলে মুখ খোলার সাহস পাচ্ছে না কেউ।
প্রকাশে রাস্তায় মানুষ কে গতিরোধ কে কামরুলের গড়ে তোলা বাহিনী চাঁদাবাজি করে যাচ্ছেন।
সর্বশেষ বুধবার দুপুরে ইলিশা বাজার ভুমি অফিসের সামনে সাবেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা সোহেল এর পথ গতিরোধ করে হোন্ডা থামিয়ে সাথে থাকা মোবাইল ও টাকা পয়সা নিয়ে যায় এবং একটি ক্যামেরা ভাংচুর করে ওই ছাত্রলীগ নেতা কে আটকে রাখলে ইলিশা ইউপি চেয়ারম্যান ও ফাঁড়ির পুলিশের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
হামলার শিকার ছাত্রলীগ নেতা সোহেল স্থানীয় একটি অনলাইন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত আছেন।
সোহেল বলেন কামরুলের মাদক ও জুয়ার বিষয়ে গত বছর পুলিশের সাথে অভিযান আমি ছিলাম ওই থেকেই কামরুল বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি দিয়েছে আজ হঠাৎ আমাকে তাদের এলাকায় পেয়ে আমার উপর হামলা করে টাকা ও মোবাইল নিয়ে যায় এবং ক্যামেরা ভাংচুর করেন।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত কামরুল এর বক্তব্য নেওয়ার জন্য তার বাড়ীতে গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কামরুলের চাচা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি ও ঘাট ইজারাদার সরোয়াদী মাষ্টার বলেন, সোহেল রে আটকের কথা শুনে পুলিশের সাথে আমিও এসেছি, এসে কামরুল কে পাইনি, দৌড়ে পালিয়ে গেছে।
ভোলা সদর থানার ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, কামরুল খারাপ এটা শুনেছি আর আজকের ঘটনায় সোহেল বাদী হয়ে লিখিত অভিযোগ করেছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।