সর্বশেষঃ

ভোলার ধনিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ৩জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

ভোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই প্রক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পক্ষের ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২ আগষ্ট সন্ধ্যার পরে সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের গোডাউনে ৪ নং ওয়ার্ডে অটোরিক্সা চালক সালেম ও তার দুই ছেলে মোহাম্মদ হোসেন ও রবিউলকে তুচ্ছ ঘটনা কেন্দ্র করে পিটিয়ে জখম করেন এলাকার বখাটে ছেলেরা।
সালেম এর ছেলে রবিউল জানায়, গত ২ আগষ্ট সন্ধ্যার পরে দোকান থেকে বাজার আনতে গিয়েছিলাম। তখন তাকে সাইফুল ঘাড়তেড়া বলে। রবিউল তখন সাইফুলকে জিজ্ঞাসা করেন কেন এ কথা বলেছে। ওই সময়ই হঠাৎ সাইফুল, তানজিল, সুমন, রাকিব, সাগর, রাজিবসহ বেশ কয়েকজন তার (রবিউল) এর উপরে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালিয়ে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় তার ভাই মোহাম্মদ হোসেন ও বাবা সালেম আসে এগিয়ে আসে। তারাও সাইফুলকে জিজ্ঞাসা করতে গেলে তাদের উপরও চড়াও হয় সাইফুলের সাংগ-পাঙ্গরা।
রবিউল বাবা সালেম বলেন, আমার ছেলেকে মারছো কেন জিজ্ঞাসা করলে তখন আমাদের উপরে হামলা মারধর করে রাস্তার উপর ফেলে দেয়। কিছুক্ষণ পর সেখানে পুলিশ আসায় ওরা আমাদের রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন ওই পুলিশ সদস্যরা আমাদের তথ্য নিয়ে আমাদেরকে হাসপাতালে পাঠায়।
এ ব্যাপারে দ্বিতীয় পক্ষের অভিভাবক (সাইফুলের বাবা) জলিল এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, সাইফুল ও তার ভাইরা সেই সময় দোকানের কাছে ছিলেন বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন। তিনি আরো জানান, আমার ছেলেদের উপরে আগে হামলা করে সাইফুল ও সাগরকে মারধর করে আহত রবিউল ও তার ভাই। তারপরে তারা (রবিউল এর বাবাকে) তার ছেলেরা বেরিকেড দেয়।
ঘটনার বিষয়ে এলাকার ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবু মিয়া জানান, আমি একটা জানাজার কাজে ব্যস্ত ছিলাম। হঠাৎ করে আমার কাছে খবর আসে গোডাউন দুই গ্রুপে মারামারি করছে। তখন আমি ভোলা সদর থানায় ফোন জানাই। তখন থানা থেকে তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠায়। সালামের পরিবারসহ সকলে হাসপাতালে ২৩-২৪ নম্বর বেডে চিকিৎসা অবস্থায় আছে যা আমি পরবর্তীতে ফোন দিয়ে জানতে পেরেছি।
এ ব্যাপারে ধনিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবির জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত আছি। সালাম ও জলিল উভয়ই আমার কাছে আসছিল, বিষয়টি সামান্য। একটি ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে মারামারি ঘটনা ঘটেছে। আমি তাদেরকে দুই-তিনদিন পরে আমার অফিসে আসতে বলেছি, তখন আলোচনার মাধ্যমে মিমাংসা করে দেব।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন জানান, এখনও আমার কাছে কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।