নানান সমস্যায় জর্জরিত বিচ্ছিন্ন রামদাসপুরের কয়েক হাজার মানুষ
অসহায় রানু খুন হলে পরেই কি পুলিশি এ্যাকশন শুরু হবে ?
(অসহায় রানু বেগম)

বসত ঘর থেকে উচ্ছেদ হওয়া রানু বেগম একমাস ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরছে। ইউপি মেম্বার, চেয়ারম্যান, ফাঁড়ি পুলিশ, থানা পুলিশ, কারই সহযোগিতা পাচ্ছেন না। রানু বেগম সর্বমহলে ছোটা ছুটি করতে করতে এখন সে ক্লান্ত। অসহায় রানু খুন হলে পরেই কি পুলিশি এ্যাকশন শরু হবে ? এই প্রশ্ন মানাবাধিকার কর্মী দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরি। রানু বেগম ভোলা সদর উপোজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
গত ২৪ শে জুন রাতে রানুর সহোদর ভাই আমির হোসেন তার স্ত্রি, পুত্র, কন্যা, ও জামাতাদের নিয়ে জোর পূর্বক রানুর ঘরে প্রবেশ করে রানুকে মার ধর করে বের করে দেয়। রানু তাৎখনিক ভাবে নিকটস্ত ভেদুরিয়া পুলিশ ফাঁড়িতে ছুটে যায়। পুলিশ ফাঁড়ির এস.আই ইনজামুল হোসেন রাতেই ঘটনাস্থলে যায় এবং আমির হোসেনের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে পরদিন ২৫শে জুন বিকেলে রানু ও আমির হোসেনকে কাগজ পত্র নিয়ে উপস্থিত হতে বলেন। যথা সময়ে দুই পক্ষ পুলিশ ফাঁড়িতে উপস্থিত হন। দুই পক্ষ্যের কথা শুনে পুলিশ আমির হোসেনকে রানুর ঘর থেকে নেমে যেতে এবং রানুকে তার ঘরে উঠতে মৌখিক নির্দেশ প্রদান করেন। পুলিশের মৌখিক নির্দেশে রানু তার নিজস্ব বসত ঘরে উঠতে গেলে আমির হোসেন পুনরায় তাকে বেধম মার ধর করে তাড়িয়ে দেয়। তখন ২৫শে জুন রাতে এলাকার এক যুবক রানুকে ভোলা সদর হাসপালে ভর্ভি করে। দুইদিন হাসপাতালে চিকিৎসার পর ২৮শে জুন রানু ভোলা থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ কোন মামলা গ্রহন করতে অস্বিকৃতি জানায় এবং রানুকে আদালতে মামলা করতে পরামর্শ দেয়। রানু ২৯শে জুন ভোলার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট কোর্টে মামলা দায়ের করে। ম্যাজিস্টেট ভোলা থানার ওসি বরাবর ঘটনা তদন্ত করে রিপোর্ট প্রদানের নির্দেশ দেন। ভোলা থানার ওসি আদালতের নির্দেশনা হাতে পায় ৪ই জুলাই। ২৬ দিন অতিবাহীত হওয়া সত্বেও এখন তদন্ত কাজ শুরু করেন নি। এখনো ডাকা হয়নি বাদী-বিবাদী কাউকেই।
এদিকে রানু বেগম ইউপি মেম্বার এবং চেয়ারম্যান বরাবরে ছুটা-ছুটি করেও কোন ফল পাননি। চেয়ারম্যান তাজুল মাস্টার দুই পক্ষ্যকে ডেকে দুই পক্ষ্যের কথাশুনে আমির হোসেনকে ঘর থেকে নেমে যেতে নির্দেশ প্রদান করেন। আমির হোসেন চেয়ারম্যান এর নির্দেশও অমান্য করে।
রানু বেগম জানান মানবাধিকার কর্মী মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরিকে সাথে নিয়ে পুলিশ সুপার এর সাথে দেখা করেন। পুলিশ সুপারও রানুর দখলদার ভাই আমির হোসেনের বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
এদিকে দখলকারি আমির হোসেন বলেন, রানুর ঘর যেই জায়গায় সেই জায়গার মালিক আমি। রানুর বক্তব্য, এই ভিটিতে প্রায় ৪০ বসর ধরে ঘরে বসবাস করে আসতেছেন। তিনি বলেন, আমির হোসেন থাকতেন দূরবর্তি ইলিশা ইউনিয়নের বাঘারহাট এলাকায়। সেখানে আমির হোসেনের নানা অপকর্মের কারণে এলাকার মানুষ তাকে ওই এলাকা থেকে অনত্র সরে যেতে বাধ্য করে। তখন আমির হোসেন ওই এলাকায় থাকা আমির হোসেনের ঘর ভেঙ্গে বসত ঘরের পাশে এনে রাখে এবং রানুর ঘরটি সে দখল করে। এখন রানুর মৃত্যু ছাড়া আর কোন পথ খোলা নেই।