মনপুরায় একটানা ৪দিনের বৃষ্টিতে ও সাগরের লঘুচাপের প্রভাবে জোয়ারের পানি প্রবেশ করায় উপজেলার ৪টি ইউনিয়নের সহস্রাধীক ঘরবাড়ী, শত শত একর ফসলি জমি, পশু ও মৎস্য খামার ডুবে গেছে। আমন বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। চারিদিকে পানি আর পানি। অনেকের পুকুরের মাছ পানির সাথে ভেসে গেছে। গো খাদ্যের অভাব দেখা দিয়েছে। জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে। অন্যদিকে করোনা আতংক বিরাজ করছে। পানি বাহিত বিভিন্ন রোগেরও দেখা দিয়েছে। জনজীবনের দুর্ভোগ লাগবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ কার্যকরী ব্যাবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে সরজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দ্রুত পানি নিস্কাশনের জন্য কালভার্ট এর পথ ক্লিয়ার ও স্লুইজগেটগুলোর কপাটগুলো উঠিয়ে দিয়েছেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টানা বৃষ্টির কারনে গ্রামের কাচা ঘরবাড়ীগুলো পানিতে ডুবে গেছে। পাকা রাস্তাগুলোর মাটি ধুয়ে ভেঙ্গে যাচ্ছে। পুকুরের পাড়ের উপর দিয়ে পানি গড়িয়ে পুকুরের মাছ চলে গেছে। কৃষকের আমন ধানের বীজতলা পানির নীচে তলিয়ে গেছে। গবাধিপশুর গোখাদ্য পানির নীচে ডুবে গোখাদ্য (ঘাস) পচন ধরেছে। সাধারণ মানুষ ঘর থেকে পানির জন্য বের হতে পারছেনা। করোনাকলীন সময়ে মানুষ খুব কষ্টের মধ্যে আছেন।
উক্ত বিষয় নিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ নিজাম উদ্দিন হাওলাদার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, একটানা ভারী বর্ষণের ফলে এবং মেঘনার জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় আমার এলাকা হাজার হাজার মানুষের ঘরবাড়ী, ফসলি জমি, কৃষি খামার ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি সাধিত হয়েছে। আমি নিজে প্রত্যেকটি স্পটে গিয়ে দ্রুত পানি নিঃস্কাশনের জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি এবং যাহাতে কোন জলবদ্ধতা না থাকে তার কার্যকরী ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিদর্শন করেছি এবং স্ব-স্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদেরকে সরেজমিনে গিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য বলা হয়েছে। প্রয়োজনে যেসব স্থানে পানি জনিত রোগ প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে সেখানে অতি দ্রুত খাওয়ার স্যালাইন ও পানি বিশুদ্ধকরন টেবলেট সরবরাহ করবো।