সর্বশেষঃ

এবারের ঈদযাত্রায় সড়ক-রেল-নৌপথে ২৬২ দুর্ঘটনা ॥ নিহত-২৯৫

গত ১৪ জুলাই থেকে ২৮ জুলাই পর্যন্ত ঈদযাত্রার ১৫ দিনে দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ২৬২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ২৯৫ জন নিহত ও ৪৮৮ জন আহত হয়েছে। ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদন-২০২১’ উপলক্ষে আজ শুক্রবার (৩০ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। অনলাইন, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে থাকা তথ্যের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি করেছে সংগঠনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে মানুষের যাতায়াত সীমিত হলেও স্বল্পসময়ের জন্য গণপরিবহন চালু করায় সড়কে গণপরিবহনের পাশাপাশি ব্যক্তিগত যানবাহন বিশেষ করে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা-ব্যাটারিচালিত রিকশা, ট্রাক-পিকআপ ও কাভার্ড ভ্যানে একসঙ্গে গাদাগাদি করে যাতায়াতের কারণে গত ছয় বছরের তুলনায় এবারের ঈদে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে।
ঈদযাত্রা শুরুর দিন গত ১৪ জুলাই থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ২৮ জুলাই পর্যন্ত ১৫ দিনে ২৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৭৩ জন নিহত ৪৪৭ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া একই সময়ে রেলপথে ৯টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও পাঁচজন আহত, নৌপথে ১৩টি দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত ও ৩৬ জন আহত এবং ২১ জন নিখোঁজ হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌপথে মোট ২৬২টি দুর্ঘটনায় ২৯৫ জন নিহত ও ৪৮৮ জন আহত হয়েছে। তবে ২৩ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন শুরু হওয়ার পর ২৫ জুলাই থেকে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি কমতে থাকে।
প্রতিবেদন সম্পর্কে সংগঠনের সভাপতি মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আগের ঈদগুলোতে সরকারের নানা মহলের তৎপরতা থাকায় দুর্ঘটনার লাঘাম কিছুটা টেনে ধরা সম্ভব হলেও কঠোর লকডাউনের কারণে মানুষের যাতায়াত সীমিত থাকার পরও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরদারি না থাকায় এবারের ঈদযাত্রায় সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি তুলনামূলকভাবে বেড়েছে। প্রতিবেদনে দুর্ঘটনা প্রতিরোধে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-
* জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে রাতের বেলায় অবাধে চলাচলের জন্য পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা।
* দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ।
* যানবাহনের ত্রুটি সারানোর উদ্যোগ গ্রহণ।
* ধীরগতির ও দ্রুতগতির যানের জন্য আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা।
* সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, চালকদের বেতন ও কর্মঘণ্টা সুনিশ্চিত করা।
* সড়কে রোড সাইন রোড মার্কিং স্থাপন করা।
* সড়ক পরিবহন আইন যথাযতভাবে বাস্তবায়ন করা।
* ট্রাফিক আইনের সঠিক প্রয়োগ করা।
* গণপরিবহন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএর অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করে সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।
* মানসম্মত সড়ক নির্মাণ ও মেরামত সুনিশ্চিত করা, নিয়মিত রোড সেইফটি অডিট করা ইত্যাদি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে সংগঠনের সহ-সভাপতি তাওহীদুল হক লিটন, যুগ্ম মহাসচিব মনিরুল হক ও প্রচার সম্পাদক আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।