চরফ্যাশনে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূকে নির্যাতন, প্রাণনাশের হুমকি
যৌতুকের দাবিতে ভোলার চরফ্যাশনে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার আসলামপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড আয়শাবাগ গ্রামে গত রবিবার বিকেলে এঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রায় দেড় বছর পূর্বে উপজেলার মাদ্রাজ ইউনিয়নের বাসিন্দা মোতালেব মাঝির মেয়ে আমেনা বেগম (২৪) ও আসলামপুর ইউনিয়নের তাহের সিকদারের ছেলে আবদুল মোতালেবের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পণ হিসেবে নগদ ১ লক্ষ টাকা ও প্রায় দেড় লক্ষ টাকার স্বর্ণালঙ্কারসহ আসবাবপত্র দেন মেয়ের পিতা। বিয়ের পর থেকে স্বামী মোতালেব সিকদার স্ত্রী আমেনা বেগমকে দাবিকৃত যৌতুকের আরও ২ লক্ষ টাকার জন্য একাধীকবার মারধর করে বলে অভিযোগ করেন আহত আমেনা বেগম।
তিনি বলেন, মারধরের পর স্থানীয়ভাবে একাধীক সালিশ ফয়সালা হলেও ফয়সালা অমান্য করে স্বামী মোতালেব। সম্প্রতী যৌতুকের ২ লক্ষ টাকার জন্য আমাকে ও আমার পিতাসহ ভাইদেরকে চাপ প্রয়োগ করে আমার স্বামী। আমার অসহায় ও অক্ষম বৃদ্ধ পিতা যৌতুকের ওই টাকা দিতে না পারায় গত ২৫ জুলাই রবিবার বিকেলে আমি জ্বরে অসুস্থ্য থাকা অবস্থায় লাঠিসোঁটা ও ঝাঁড়ু দিয়ে আমাকে মারধর ও রক্তাক্ত নীল ফোলা জখম করে স্বামী মোতালেব। লাঠি ও ঝাঁড়ুর গুরুতর একাধিক আঘাতের ফলে ওই গৃহবধূ অচেতন হয়ে যান বলেও দাবি করেন। পরে ওই গৃহবধূর স্বজনরা খবর পেয়ে তাঁকে উদ্ধার করে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান বলে স্থানীয়রা জানান।
আমেনা বেগম আরও বলেন, আমাকে মারধর করেই খ্যান্ত হয়নি মোতালেব ও তাঁর স্বজনরা আমি যেন থানা-পুলিশের কাছে না যাই এ জন্য আমি ও আমার বৃদ্ধ পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে।
তবে আবদুল মোতালেব ও তাঁর পরিবার এ অভিযোগ অসত্য বলে দাবি করেন। এ ঘটনায় চিকিৎসাধীন ওই গৃহবধূ বাদি হয়ে চরফ্যাশন থানায় একটি মামলার প্রস্তুতি নিয়েছে বলেও সূত্রে জানা গেছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিয়া বলেন, ঘটনা শুনেছি অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।