চরফ্যাশনের দুলারহাটে ইমামকে কুপিয়ে জখম

ভোলার চরফ্যাশনের দুলারহাট থানা এলাকায় জমি বিরোধের জের ধরে মিজানুর রহমান (৪৫) নামের এক ইমামকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার বিকালে আবুবক্করপুর ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের তার বসত বাড়ির দরজায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় হামলাকারীরা তার সাথে থাকা কোরবানের গরু কেনার ৮০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। স্বজনরা গুরুতর আহতবস্থায় উদ্ধার করে ওই দিন সন্ধ্যায় চরফ্যাসন হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান আমিনাবাদ ৮ নং ওয়ার্ডের কেরামতিয়া জামে মসজিদের ইমাম ও হাসেমিয়া কাউমি ও নুরানী মাদ্রাসার শিক্ষক। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে আহতের পরিবার সুত্রে জানাগেছে।
হসপাতালে চিকিৎসাধীন ইমাম মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, আবুবক্করপুর মৌজায় দিয়ারা ১৫৭৭ নং খতিয়ানে তার বাবা নুরমোহাম্মদ ঢালী মৃত্যুর আগে তাকে বাবার ওয়ারিশি জমিসহ ১ একর ১৫ শতাংশ জমির দিয়ারা রেকর্ড সুত্রে মালিকানা হস্থান্তর করেন। ওই জমি তিনি ভোগ দখল করে আসছেন। বাবার মৃত্যুর পর তার অপর ভাই জামাল ঢালী ও কালাম ঢালী বাবার দেয়া দিয়ারা রেকর্ড ভঙ্গ করে জমি থেকে উচ্ছেদ করে ১৫ সনে ভোলা ল্যান্ডসার্ভে ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালত দুই ভাইয়ের দায়ের করা মামলা তার অনুকুলে রায় প্রদান করেন। এতে ক্ষ্যান্ত হননি দুই ভাই কালাম ঢালী ও জামাল ঢালী পরে ২১ সনে তাকে হয়রানী করতে চরফ্যাসন যুগ্ম জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যা এখন চলমান আছে। এনিয়ে ভাইদের সাথে তার বিরোধ চলমান আছে।
সম্প্রতি সময়ে দুই ভাই কালাম ঢালী ও জামাল ঢালী তার দখলীয় জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গত মঙ্গলবার তাদের ছেলেরা ঈদ উপলক্ষে বাড়িতে এসে ফের ওই জমি দখলের চেষ্টা করেন। এনিয়ে তার ঘটনার দিন তার সাথে তর্ক-বিতর্ক বাধে। ওই তর্কের জের ধরে তার ভাই কালাম ঢালী, জামাল ঢালী ও তাদের শামিম, রিয়াজসহ ১০/১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র তিনি কোরবানের গরু কিনতে বাজারে যাওয়ার পথে তার বসত বাড়ির দরজায় তার উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করে গুরতর আহত করেন। হামলায় তিনি সংঙ্গাহীন হয়ে পরলে তার সাথে থাকা ৮০ হাজার টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় তারা। এ সময় তার চিৎকারে তার স্ত্রী ও স্বজনরা উদ্ধার করে চরফ্যাশন হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত কামাল ঢালী জানান, ভাই মিজানুর রহমান বাবার মৃত্যুর আগে বাবাকে ফুঁসলিয়ে তার বাবার জমি রেকর্ড করে নেন। এনিয়ে তার সাথে আমাদের বিরোধ চলছে। মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয়ার বিষয় সঠিক নয়।
দুলারহাট থানার ওসি মো. মুরাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।