দৌলতখানে প্রতারণার মাধ্যমে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ

ভোলা দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের মৃত আব্দুল আউয়ালের এর ছেলে আলী আজগর এর বিরুদ্ধে মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় একাধিক সাধারণ মানুষকে মামলা দিবে বলে ও পুলিশ সুপারের কাছে ভুয়া অভিযোগ প্রত্র দেখিয়ে চরপাতা ইউনিয়নে কাজীর হাট বাজারের সাধারণ জনগণ যেমন চুল কাঁটার নাপিত, কাঁচা মাল ব্যবসায়ী,কাপড়ের দোকানদার, অটো রিকশা চালক, জেলে সহ প্রায় অর্ধশত লোকের কাছে চাঁদা দাবী করে। মূলত সে কোন কাজকার্ম করে না আর কৃষি ব্যাংকে দালালী করে।দালালী করে সাধারণ মানুষকে কৃষি ব্যাংকের লোন পরিশেষ করে দিবে বলে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই তার কাছ।
গত এক মাস আগে আলী আজগর ভোলার পুলিশ সুপার বরাবর ১৪ জনকে আসামী করে একখানা অভিযোগ লিখে আনেন। অভিযোগ খানা কাজীর হাট বাজারে এনে লোক মারপতে ঐ ১৪ জন আসামীকে হাতে ধরিয়ে দেয় এবং বলে তোমাদের নামে মামলা হয়েছে যদি টাকা না দেন তাহলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিবে। এমতাবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষ গুলো বিব্রত অবস্থায় পরে। সকলে মিলে স্হানীয় চেয়ারম্যান এর কাছে বিচার দেয়। অভিযোগে তিনি লিখেন তাকে রাস্তায় একা পেয়ে তার সাথে থাকা স্বর্ণের চেইন নগদ টাকা সহ ১লাখ ৫৪ হাজার ৪শ’ ২০ টাকা ছিনিয়ে নেয় আসামীগণ। এদিকে তার লিখিত অভিযোগ ভোলা পুলিশ সুপারের নিকট পেশ করিলে তিনি যানান এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে ও আমার থানায় আসে নাই।
ভুক্তভোগী শাহে আলম (৫৫) জানান, আমি কাজীর হাটের একজন কাঁচা মালের ব্যবসায়ী আমার কাছে আলী আজগর ১ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে আর আমি যদি না দেই তাহলে আমাকে পুলিশ দিয়ে ধরাইয়া দিবে। ভুক্তভোগী স্কুল মাষ্টার মাইনুদ্দিন বলেন, আমি কাজীর হাট বাজারে ছোটখাটো কাপড়ের ব্যবসা করি সে বলে তোমার নামে মামলা হয়েছে যদি টাকা না দেন তাহলে পুলিশ দিয়ে ধরাইয়া দিবে। চুল কেটে, সেইভ চলে যায় টাকা চাইলে নাপিত কে গালে থাপ্পর মারে।
অনুসন্ধানে এমন অনেক অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে দৌলতখানউপজেলা চরপাতা ইউনিয়নে। ভুক্তভোগী সকলে মিলে গত ১৭ জুলাই ভোলা দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিকট তার বিরুদ্ধে একখানা অভিযোগ দাখিল করেন। একই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি জসিম পাটোয়ারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এই আলী আজগর এর কয়েকবার বিচার করছি তাকে মানানে যায় না। ঐ ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর সাথে কথা বললে সেও একই কথা বলে। স্থানীয় সাধারণ মানুষের যার বিরুদ্ধে সেই আলী আজগর এর মোবাইল নাম্বারে যোগাযোগের চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি।
ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন তার নামে সাধারণ মানুষ কে জিম্মি করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। আমি কয়েকবার সালিস করেছি, তারপরও সে কথা শোনে না। আমি তার বিরুদ্ধে আইনের সহায়তা কামনা করছি।

 

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।