সর্বশেষঃ

৫০ শতাংশ যাত্রী বহনের আদেশ থাকলেও গাদাগাদি যাত্রী নিয়েই চলছে নৌযান

ঈবাড়ি ফিরতেই হবে, এই মনোভাব নিয়ে থিকথিকে ভিড়ে করোনা সংক্রমণের প্রবল আশঙ্কা শিকেয় তুলে ঘর মুখো ভোলাবাসী।

কর্মস্থল থেকে ভিটে মাটির টানে ছুটছে বাড়ি। সেই গতি রোধ করছে যানজট ও নৌযানের ভিড়। সেই চেনা ছবি। অথচ করোনার তীব্র সংক্রমণ আশঙ্কা থাকায় সরকার সব ধরণের জমায়েত নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

করোনা সংক্রমণের স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করার নির্দেশ দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রক। পারলে কম সংখ্যক মুসুল্লি নিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে এমন ও নির্দেশ রয়েছে। অভিযোগ ভোলা লক্ষীপুর নৌরুটে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই চলছে নৌ যান গুলো।

আর ঘরে ফেরার ভিড় শুধু সড়ক পথ নয়, জলপথে ঘর যাত্রার ভিড় প্রবল। বহন ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকা , বরিশাল, চট্টগ্রাম সহ বিভিন্ন জেটি ও নৌ ঘাটের মত ইলিশা ঘাটেও যাত্রীদের মারাত্মক ভিড়। দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ও রয়েছে বেশ।

করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাথ্যবিধি ও বিধিনিষেধ মেনে দুর পাল্লার বাস ও নৌ যান চলাচলের আদেশ শুধু কাগজে কলমেই।

করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছেন বহু মানুষ। ঢাকা ছেড়েছেন কয়েক লক্ষ। ফাঁকা হতে শুরু করেছে যানজটের শহর ঢাকা।

স্বজনের সঙ্গে ঈদ করার খুশিতে করোনা সংক্রমনের ঝুঁকি ভুলে যাচ্ছেন সবাই।

তবে ঈদের আনন্দে গতবারের মতো কামড় বসিয়েছে করোনাভাইরাস। মারাত্মক সংক্রামক ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশে প্রবেশ করায় উদ্বেগে চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের আশঙ্কা যেভাবে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় বাড়ি মুখো আবার ফিরতি ভিড় হবে ঢাকা সহ বিভিন্ন শহরমুখী তাতে সংক্রমণ বড়সড় আকার নেবার আশংকাও থাকতে পারে।

নৌযানে থিকথিকে ভীড়ের গরমে, করোনা আতঙ্কে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন নৌযানে চলাচল করা ঘরমুখো মানুষ। তবে অতিরিক্ত যাত্রী বহনে তৎপর থাকতে দেখা যায়নি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের।

এবিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ ভোলা উপপরিদর্শক জাহিদুল ইসলাম জানান নৌ যানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার জন্য আমরা সোচ্চার। তবে যথাযথ কার্যকরি ভূমিকা নেয়ার জন্য আমাদের সহায়তায় ঘাটে কোষ্টগার্ড ও নৌ পুলিশের টহল টিম আছে তবে তারা ব্যাবস্থা গ্রহনের আদেশ প্রাপ্ত । অপর দিকে লক্ষ্মীপুর বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ভুমিকা নেয়ার উপর নজর দেয়া জরুরী বলে মনে করেন তিনি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page