সর্বশেষঃ

লালমোহনে প্রতিবেশীর প্রতিহিংসায় নিঃস্ব একটি পরিবার

ভোলার লালমোহন উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের দেওয়ান বাড়ির মৃত আবদুর রশিদ দেওয়ানের ছেলে মান্নান দেওয়ান। জীবিকার তাগিদে পরিবার নিয়ে ঢাকা থাকতেন তিনি। তবুও নাড়ির টানে যদি কখনো বাড়ি আসতে হয়, তাহলে বসতঘরের জায়গা সংকটে অসুবিধা হবে। এমন চিন্তায় ২০০৭ সালে বড় ভাই বশিরকে পার্শ্ববর্তী রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের শফিক খাঁর কাছ থেকে ৫৬ শতাংশ জমি কিনে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী মান্নান দেওয়ান জানান, ওই জমি কিনেই শফিক খাঁর চাচাতো ভাই আলমগীর খাঁর হিংসার বলি হন তিনি। জমি থেকে উৎখাতের জন্য আলমগীর খাঁর প্ররোচণায় ২০০৮ সালে খাঁ বাড়ির রোকেয়া বেগম কে এ্যাসিড নিক্ষেপের মামলায় তাকেসহ তার পিতা আবদুর রশিদ, ভাই বশির ও ভাতিজা রুবেলকে আসামী করে মামলা করে রোকেয়ার স্বামী আবু তাহের।
ওই মামলা থেকে পিতা আবদুর রশিদ ২০১২ সালের জুন মাসে জামিন পেলেও জেলে থাকেন মান্নান, বশির ও রুবেল। এদিকে জেল থেকে বেরিয়ে সন্তানদের চিন্তায় অসুস্থ হয়ে ২০১৫ সালে মৃত্যুবরণ করেন বাবা আবদুর রশিদ।
অন্যদিকে স্বামী জেলে থাকায় অনাহারের কষ্টে তিন সন্তানকে ফেলে রেখে বিদেশে চলে যায় তার স্ত্রী। পাশাপাশি মামলা চালাতে গিয়ে অর্থনৈতিক অভাবে বিক্রি করে দেন বাড়ির ঘরটিও। এদিকে দীর্ঘ ১২বছর জেল খেটে ৩ জুন ২০২১ তারিখে জামিন হয় মান্নান ও তার ভাই ভাতিজার। তবে এতদিনে পুরোপুরি নিঃস্ব হয়ে গেছে তার পরিবার।
এত কিছুর পরও ক্ষ্যান্ত হননি আলমগীর খাঁ। পুনরায় নতুন মামলায় তাকে ও তার পরিবারকে ফাঁসাতে আলমগীর খাঁ ফন্দি আঁটছে বলে অভিযোগ করে মান্নান আরও বলেন, গত ৮ জুলাই বৃহস্পতিবার পার্শ্ববর্তী কুট্টি খাঁর ঘরে দিনেদুপুরে খাবারে চেতনানাশক মিশিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
কুট্টি খাঁর ছেলে রুবেল বলেন, আমাদের ঘরের খাবারে কে বা কারা চেতনানাশক মিশিয়েছে তা জানা নেই, এমনকি কাউকে সন্দেহ করছিনা। তবে চেতনানাশক মেশানোর ঘটনায় মান্নান দেওয়ান কে অভিযুক্ত করতে পরামর্শ দিয়েছিলেন আলমগীর খাঁ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগ অস্বীকার আলমগীর খাঁ বলেন, কুট্টি খাঁর প্রতিবন্ধী ছেলের সাথে তার ঝগড়া হয়েছিল। এজন্য তাকে ফাঁসাতে মিথ্যে কথা বলেছে কুট্টি খাঁর ছেলে রুবেল।
এদিকে এলাকায় আলমগীর খাঁর বিরুদ্ধে নানা অপকর্মের অভিযোগ তুলে তার বিচার ও শাস্তির দাবি করে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকাবাসি অভিযোগ করেন, আলমগীর খাঁ বিভিন্ন সময় এলাকার মানুষের বিরুদ্ধে নানা চক্রান্ত করে বেড়ায়। সাধারণ মানুষকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসিয়ে ফায়দা লুটতে চায়। তাই তার দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।