নদীতে মাছ না পাওয়ায় দুর্ভোগে দিন যাপন করছেন চরফ্যাশনের বেতুয়া এলাকার জেলেরা
নদীতে মাছ না পাওয়ায়, করোনাকালিন সময়ে দূভোর্গে দিন পার করছেন বেতুয়া এলাকার জেলেরা। জীবনের শেষপ্রান্তে এসে হিসাব মেলাতে পারেন না, উপকূলের জেলেরা। করোনা যেন এক অভিশাপ নিয়ে এসেছেন তাদের জীবনে। প্রত্যেকের কণ্ঠেই যেন আক্ষেপের সুর। নদীতে মাছ না থাকায়, বছরের অধেক সময় অবরোধ, ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়া করাতে, উপরন্তু ধার-দেনায় হিমশিম খাচ্ছেন চরফ্যাশন উপজেলার প্রতিটি জেলে পল্লীগুলোর জেলেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বেতুয়া, মাদ্রাজ, সামরাজ ও ঘোষেরহাটের বেড়িবাঁধের ঢালুতে শত শত পরিবার পলিথিন ও বাঁশ দিয়ে তৈরি ঝুপড়িঘরে বসবাস করছেন। একদিকে নদীতে মাছ না পেয়ে দিশেহারা পরিবাগুলো। চলছে অভাব-অনটন। অন্যদিকে মহামারি করোনা পরিস্থিতিতে জেলে পল্লীতে অভাব আরো প্রকট আকার ধারন করেছে।
জাকির হোসেন বলেন, করোনা ও লকডাউন পরিস্থিতিতে অভাবের কারণে সন্তানদের চেহারার দিকে তাকালেই চোখে জল নেমে আসে। এখন এক বেলা খেয়ে কোনো মতে সংসার চলে।
ছেলে-মেয়েদের নতুন জামাকাপড় কিনে দেব দূরের কথা, ঠিকমতো চুলাও জ্বলছে না। এমনটা জানিয়েছেন নাজমা বেগম নামের এক গৃহবধূ।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য করর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার বলেন, নিবন্ধিত জেলেদের চাল দেওয়া হয়েছে। করোনার মধ্যে জেলেরা সাগরে যেতে পারছে না। নদীতে মাছ কম পরছে তবে সাগরে মাছ ভালো পাওয়া যাচ্ছে এখন। এছাড়াও সামনের দিকে আরো নিবন্ধন করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।