তজুমদ্দিনে পুলিশের হাতে চিহ্নিত পাঁচ মাদক কারবারী গ্রেপ্তার

ভোলার তজুমদ্দিনের পুলিশ অভিযান চালিয়ে চিহ্নিত মাদক সিন্ডিকেটের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। তাদের কাছ থেকে ১৫০ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ১০ টায় থানার এসআই শামীম সরদারের নেতেৃত্বে একদল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের ফরাজি কান্দির চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী সেলিমের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
থানা সুত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদে জানতে পেরে পুলিশের একটি টিম দক্ষিণ শম্ভুপুর এলাকায় ফরাজি কান্দির কালাম মাঝির ছেলে সেলিম (৩৫) তার বসত বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় সেলিমের কাছ থেকে খুচরা মাদক (গাজা) ক্রয় করতে আসা লামছি শম্ভুপুরের হোসেন মিয়ার ছেলে সোহাগ (২৮), সাইদুল হক মিয়ার ছেলে নিজাম উদ্দি ওরফে মিজান (৩৩), ঝালকাঠি জেলা সদরের হাতেম আলীর ছেলে সোহেল খান (২৬), শম্ভুপুর ৬ নং ওয়ার্ডের মঞ্জু পাটওয়ারী বাড়ির মাহফুজু রহমানেরর ছেলে মোঃ ফরিদ উদ্দিন (৩২)-সহ ৫ জনকে আটক করেন পুলিশ। পরে তাদের দেহ তল্লশি করে এদের কাছ থেকে মোট ১৫০ গ্রাম গাজা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সম্প্রতি মাদক মামলায় জেল থেকে ছাড়া পেয়ে দক্ষিন শম্ভুপুর এলাকায় ফরাজি কান্দির কালাম মাঝির ছেলে সেলিম (৩৫) তার বসত বাড়িতে পুনঃরায় মাদক কেনা-বেচা শুরু করছে। তার কাছ থেকে গাজা ক্রয় করে এসব খুচরা ক্রেতারা উপজেলার বিভিন্ন ছোট-বড় হাট বাজারে পুটলি আকারে বিক্রি করে। এরা লক্ষ্মীপুরের আলেকজান্ডার হযে আসা বোরহানউদ্দিনের মির্জাকালু লঞ্চঘাট এলাকার একটি আন্তঃজেলা মাদক চক্রের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। সেলিমের মাদকের এই সিন্ডিকেটটি অনেকদিন ধরে এলাকায় গাজা ও ইয়াবা সরবরাহ করছে এমন অভিয়োগ বহু দিনের। তাদের গ্রেপ্তারে ওই এলাকায় স্বস্তি ফিরলেও গোটা উপজেলায় এদের বড়সর একটি চক্র এখনো রয়ে গেছে ধরা-ছোয়ার বাইরে। পুলিশ বলছে, তাদের গ্রেপ্তারে নিয়মিত অভিযান চলছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।