মেঘনা নদীর প্রায় ২০ কিলোমিটার জুড়ে প্রভাবশালীদের খুঁটা জাল

লালমোহনে জেলেদের মাছ শিকারে বাঁধার অভিযোগ

ভোলার লালমোহনের মেঘনা নদীতে জেগে উঠা ৮নং নাম্বার ও বইস্যার চর এলাকার নদীর প্রায় ১৫/২০ কিলোমিটার জুড়ে খুঁটা জাল (খর্চি জাল) বসিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা এবং ওই এলাকায় সাধারণ জেলেদেরকে মাছ শিকারে বাঁধা দেয়া হচ্ছে, এমন ঘটনার প্রতিকার চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন জাহাঙ্গীর মিয়া নামে এক ব্যক্তি।
গত ১৩ জুন ওই চিঠিটি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার, মৎস্য কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগপত্র পাঠানো হয়। অভিযোগপত্রের একটি কপি সংবাদকর্মীদের এর হাতে এসে পৌঁছেছে।
অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার মেঘনা নদীর দুটি স্থান (ধলীগৌরনগর ৭ ও ৮নং ওয়ার্ডস্থ কামার খাল ও বাত্তির খালের মাঝামাঝি) ৮নাম্বার চরের পূর্ব পাশে ও উড়ির চরের পশ্চিম পাশে প্রায় ৮/১০ কিলোমিটার এবং (লর্ডহার্ডিঞ্জ ইউনিয়নের বুড়িরদোন ঘাট থেকে পূর্ব দক্ষিণে) বইস্যার চরের পূর্ব পাশে প্রায় ৯/১০ কিলোমিটার জায়গায় গাছ দিয়ে বাঁধের মত সৃষ্টি করে খূঁটা জাল বসিয়েছে প্রভাবশালীরা।


ওই স্থানে আগে উপজেলার প্রায় দুই হাজার নৌকা ও ট্রলারে প্রায় ৫/৭ হাজার সাধারণ জেলে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করতো। তবে খুঁটি বসানোর পর প্রভাবশালীদের ভয়ে জেলেরা ওই স্থানে মাছ শিকার করতে পারছেনা। তাই সাধারণ জেলেদের জীবন জীবিকার কথা চিন্তা করে অবৈধ ওই দখলমুক্ত করার দাবিতে জেলেদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ করেন জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি।


তবে লিখিত কোনও অভিযেগ পাননি বলে জানিয়েছেন লালমোহনের সদ্য বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল নোমান। তবে উপজেলা প্রশাসনের মাসিক সভায় মৎস্য কর্মকর্তা বিষয়টি উপস্থাপন করেছিলেন এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনা ছিল বলেও জানান তিনি।
এদিকে নদীর বিশাল এলাকা জুড়ে খুঁটা জালের বিষয়টি অবগত আছেন জানিয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, লালমোহন ও তজুমদ্দিন উপজেলা মৎস্য অফিসসহ প্রশাসনের সহায়তায় যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা হবে। নদীতে নির্বিঘেœ মাছ শিকারের মাধ্যমে লালমোহনের হাজার হাজার সাধারণ জেলের জীবন জীবিকার জন্য মেঘনা নদী হোক উন্মুক্ত, এমনটাই প্রত্যাশা সচেতনমহলের।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।