মুক্তিপনের বিনিময়ে উদ্ধার

তজুমদ্দিনের মেঘনায় আট জেলে ট্রলারে ডাকাতি, পাঁচ জেলে অপহরণ

ভোলার তজুমদ্দিনের মেঘনায় জলদস্যুরা নদীতে মাছ ধরার সময় আটটি জেলে ট্রলারে ডাকাতি করে পাঁচ মাঝি মাল্লাকে অপহরণ করে। পরে স্বজনরা ডাকাতদের দাবীকৃত মুক্তিপণের টাকা পরিশোধকরে তাদের উদ্ধার করে।
অপহৃত জেলে পরিবার সুত্রে জানা গেছে, রবিবার দিবাগত গভীর রাত থেকে মেঘনা নদীর সোনার চর ও চর মোজাম্মেল এলাকায় মাছ আহরনরত জেলে ট্রলারে হামলা করে স্বশস্ত্র ডাকাতদল। এসময় তারা শশীগঞ্জ ঘাটের শরীফ মাঝি, শফি মাঝি, মাকসুদ, নুর ইসলাম, নকিব, মহিউদ্দিন, কলাতলী ঘাটের হারুন ও রুবেল মাঝিসহ ৮টি জেলে ট্রলারে হানা দিয়ে মাছ, জাল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন লুট করে। এসময় ডাকাতরা ভোলা সদর থানা এলাকার বাসিন্দা মাকসুদ (৩৫) ও শফি মাঝি (৪০), লালমোহনের বাসিন্দা নকিব (৪৫) এবং চর কলাতলির বাসিন্দা হারুন (৪০) ও রুবেল (৩৫) সহ পাঁচ জেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এসময় ডাকাতরা অপহৃতদের ছাড়িয়ে নিতে মোবাইল নম্বর দিয়ে যায়। পরে ঘাটের আড়ৎদার ও স্বজনরা মিলে প্রশাসনকে না জানিয়ে বিকাশের মাধ্যমে মুক্তিপণের এক লক্ষ টাকা পরিশোধ করে। পরে ডাকাতরা মির্জাকালুর হাকিমুদ্দিন এলাকায় ভোর ৫টার দিকে চোখ বাঁধা অবস্থায় অপহৃতদের ছেড়ে দেয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্বজন জানান, অপহরণ ও মুক্তিপণের বিষয়ে প্রশাসনকে জানালে ডাকাতরা অপহৃতদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম জিয়াউল হক জানান, রাতে মেঘনায় ডাকাতি ও জেলে অপহরণের সংবাদ পেয়েছি। বিকাশ নম্বর উদ্ধার করে অপরাধীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে।
তজুমদ্দিন কোষ্ট গার্ড কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মোঃ সুলতান জানান, মেঘনায় আমাদের নিয়মিত টহল অভিযান আছে। কিন্তু রাতে ডাকাতির সংবাদ কেউ আমাদের জানায়নি।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।