হতাশায় দিন কাটছে ভোলার জেলে ও ইলিশ মাছ ব্যবসায়ীরা

ইলিশমাছ শুন্যতা বিরাজ করছে দেশের মৎস সম্পদের বৃহৎ অংশ আহরিত অঞ্চল ভোলায়। ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের আগের ক’টি দিন উপকূলীয় অঞ্চল ভোলায় কিছু মাছ দেখাদেয়ার পরে বড় বড় মাছ ঘাট ইলিশের প্রাচুর্যে পুরানো চেহারা ফিরে পেয়েছিল। কিন্তু মাত্র ৩/৪ দিন ঘাটে ইলিশের এই প্রাচুর্য দেখা যায়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব কেটে যাওয়ার পর ২৫ মে থেকে ঘাটে আর ইলিশের দেখা নেই। বিশেষ করে সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশের ভান্ডার মেঘনার তীরের মাছঘাটগুলো আবারো ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে।

মেঘনা নদীতে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞার পর গত ১ মে থেকে মাছ ধরা শুরু হলেও নদীতে তেমন ইলিশ ধরা পড়ছে না। গত এক মাস ধরে অধিকাংশ জেলে নদীতে নেমে হতাশ হয়ে ফিরছেন। তবে মাছ পাবার আশায় এখনো নদী চষে বেড়াচ্ছেন ভোলার অনেক জেলেরা ।

গতকাল রবিবার উত্তর ভোলার ভিবিন্ন মাছঘাটে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মৎস্য আড়তদাররা হতাশাজনক অবস্থায় বসে দিন পার করছেন। প্রায় সকল আড়তই রয়েছে ফাঁকা। আড়তের পাশে বসে কিছু খুচরা ব্যবসায়ী অল্প কিছু ইলিশ ক্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছেন। অলস সময় কাটাচ্ছেন আড়তের কর্মচারীসহ মৎস্য শ্রমিকরা।

এ অবস্থার কারণ হিসেবে রাজাপুরে জোর খালের একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে মেঘনায় ইলিশ কমে যাওয়ায় এখানকার অধিকাংশ ব্যবসায়ী বিভিন্ন পেশার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। এখানে তাদের লক্ষ লক্ষ টাকা দাদন দেয়া আছে জেলেদেরকে । কিন্ত নদীতে ইলিশ না থাকায় এই মাছঘাটগুলো এখন প্রায় ইলিশ শূন্য হয়ে পড়েছে।

জোড় খাল ঘাটের বিশিষ্ট মৎস্য ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম পালোয়ান বলেন, ‘ইলিশের এখনও পুরোপুরি মৌসুম শুরু হয়নি। তবে বিগত বছরের এই সময় ভোলার জেলেরা কিছু ইলিশ আহরণ করতে পেরেছে কিন্ত এবছর এখনো পর্যন্ত ইলিশ আহরণ শুন্যের কোঠায় । বেশ কয়েকদিন ধরে কোনো ইলিশই আসছে না আমাদের এখানে বলেও জানান তিনি।

ভোলার জেলা মৎস কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম বলেন বর্তমানে ইলিশের ডাল সিজন চলছে। এছাড়া সাগরেও ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা চলছে আগামী ২৩ জুলাই চলমান নিষেধাজ্ঞা শেষহবে । তার পরপরেই ইলিশের ভরা মৌসুম শুরুহবে। তবে ভোলার মেঘনা নদীতে প্রথমত পানির গভীরতা তেমন নেই। চর পড়ে ইলিশ চলাচল বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তাছাড়া এসময় সাধারণত ইলিশ একটু কমই ধরা পরে তবে সামনে ভরা কাটালে ইলিশের পরিমান মেঘনায় বৃদ্ধিপাবে বলে আশাকরি।

মেঘনায় ইলিশের স্বাভাবিক চলাচল ও খাবার সংকট তৈরি হওয়ায় বছরের এমন সময় ইলিশ কমে যাওয়ার মূল কারণ হতে পারে বলেও জানান তিনি ।’

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

You cannot copy content of this page