ভোলায় অনলাইনে ৯৩ স্পটে কোরবানির পশু বেচা-কেনার উদ্যোগ

দ্বীপজেলা ভোলায় প্রাণিস্পদ অধিদপ্তর এবার ৯৩ টি স্পটে অনলাইনে কোরবানির পশু বেচা-কেনার উদ্যোগ নিয়েছে। ভোলা জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলায় ৯৩টি স্পটে পশুরহাট বসানোর প্রস্তুতি নেওয়া হলেও করোনা সংক্রমণের ওপর নির্ভর করছে এ বছর ঠিক কতটি পশুরহাট বসবে। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় অনলাইন পশুরহাট চালু করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এর মধ্যে ভোলা জেলা সদরে ১টি ও ৭ উপজেলায় ৭টিসহ মোট ৮টি অনলাইন পশুরহাট চালু করা হয়েছে। এসব হাটে গরুর ছবি, ওজন, দাম এবং বিক্রেতার নাম মোবাইল নাম্বার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পশুরহাটে ২২টি ভেটরিনারি টিম প্রস্তুত রয়েছে। ভোলায় চাহিদার বিপরীতে কোরবানির জন্য পর্যাপ্ত পশু মজুদ রয়েছে। এ বছর জেলায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১ লাখ ৬ হাজার ৯৫৪টি গরু। জেলায় কোরবানির জন্য চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৬০টি পশু। সেখানে চাহিদার চেয়েও প্রায় ৫ হাজার গরু বেশি রয়েছে।
এদিকে কেরবানির ঈদ সামনে রেখে প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজাকরণ করছেন খামারিরা। হাট বসার ঘোষণা এলেই তারা গরু নিয়ে হাটে হাজির হবেন। তবে, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে হাটে ক্রেতা কম থাকলে গরুর দাম উঠবে না বলেও মনে করছেন তারা।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ইন্দ্রজিৎ কুমার ম-ল জানান, এখন পর্যন্ত ৯৩টি স্পটে পশুরহাট বসানোর প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। তবে, সবকিছু নির্ভর করছে লকডাউন এবং করোনা সংক্রমণের ওপর। হাটের সংখ্যা কমে যেতে পারে। তবে, আমরা বিকল্প ব্যবস্থা চালু করেছি। জেলায় ৮টি অনলাইন পশুরহাট খুলেছি, সেখানে পশু কেনা-বেচা যাবে। ফেসবুক পেজে গিয়ে ‘অনলাইন পশুরহাট ভোলা’ নামে সার্চ করলে অনলাইন পশুরহাটে প্রবেশ করে গরু-কেনা বেচা করা যাবে।
তিনি বলেন, এবার প্রাকৃতিক উপায়ে খামারিরা গরু মোটাতাজাকরণ করেছে। আমরা জেলার ২ হাজার ৯৭৫ জন খামারির মধ্যে ১৭৫ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তবে, কেউ যদি অবৈধভাবে গরু মোজাতাজাকরণ করে হাটে আনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।