সর্বশেষঃ

দলীয় পদ হারাচ্ছেন এমপি একরাম চৌধুরী (!)

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে নোয়াখালীর রাজনীতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। শনিবার বিকালে এসব আলোচনার বিষয়ে নিজের ফেসবুক লাইভে এসে নিজেই মুখ খুললেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। আমি তো ২৫ বছর চালিয়েছি, তিনবার এমপিগিরি করছি। আর নির্বাচনী এলাকায় মানুষদের সেবা করতে আমার কোনো পোস্ট (পদ) লাগে না। আমি আপনাদের পাশে ছিলাম এবং ভবিষ্যতেও থাকব।
একরাম চৌধুরী আরও বলেন, আমি আপনাদের নেতা। আপনাদের ভোটে তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছি। এই করোনাভাইরাস খুব ভয়ঙ্কর রোগ। প্লিজ আপনারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। সরকারের দেয়া নির্দেশনাগুলো মেনে চলুন। কেউ যদি খাদ্য সংকটে পড়েন তাহলে ৩৩৩ নম্বরে অবশ্যই ফোন করবেন।
এদিকে নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের কমিটি নিয়ে নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহীদল্লাহ খান সোহেল, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শিহাব উদ্দিন শাহীন, চৌমুহনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আকতার হোসেন ফয়সাল, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহনাজ বেগমসহ জেলার বিভিন্ন নেতাকর্মী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেন।
রোববার সকালে নোয়াখালী জেলা রাজনীতি ও বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর বার্তা নিয়ে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও তার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশীদ মঞ্জুর সঙ্গে আলোচনা করেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ খায়রুল আনাম সেলিম।
উল্লেখ্য, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা দীর্ঘ ৬ মাস যাবত নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ খায়রুল আনম সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সমালোচনা করেন এবং তাদের জেলা কমিটি থেকে বাদ দেয়ার দাবি করে আসছেন।

সুত্র : https://www.jugantor.com/country-news/439055

ফেসবুকে লাইক দিন

আমাদের সাইটের কোন বিষয়বস্তু অনুমতি ছাড়া কপি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।